নাটোরের গুরুদাসপুরে চাতালে ধান সিদ্ধ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকার ঝুট। অতিরিক্ত লাভের আশায় চাতাল মালিকরা পরিবেশের বিষয়টি বিবেচনা না করে ঘুন, তুষ ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যবহার করছে ক্ষতিকারক ঝুট, রাবার, ফোম, পলিথিন, প্লাস্টিকের মত ক্ষতিকারক সামগ্রী যা পরিবেশ ও মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার গুরুদাসপুরে চাঁচকৈড় পুরানপাড়া, বাজারপাড়া, মধ্যমপাড়া, গাড়িষাপাড়া, শাহাপুর, বামনকোলা, মশিন্দা শিকারপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় চাতাল গুলোতে প্রতিনিয়ত ওই ক্ষতিকারক সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।
চাঁচকৈড় পুরানপাড়া মহল্লার রহমত আলী ও সাহাদত মাষ্টারসহ এলাকাবাসী জানান, চাতালের কালোধোঁয়ায় আশপাশের ফসলি জমিতে ও গাছ পালা মরে যাচ্ছে এবং কালো ধোঁয়ার দুর্গন্ধে পরিবেশ দুষনের পাশাপাশি গর্ভবতী মা, শিশু বাচ্চা ও বৃদ্ধারা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অবিলম্বে এর কোনো প্রতিকার করা না হলে পরিবেশ ও মানুষের চরম বিপর্যয় ঘটবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাতাল মালিকরা বলেন, বর্তমানে ১ কেজি ঝুটের দাম ৭-৮ টাকা। তুষ ও ঘুনের দাম প্রতি কেজি ১২-১৪ টাকা। তুষ, ঘুনের দাম বেশি হওয়ায় কম দামে ঝুট, রাবার, পলিথিন কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা ছিলো না। এখন জানতে পারলাম। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ সোহাগ আরেফিন