নববর্ষে লাশ উপহার দিল ভারত: সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার নিন্দা


নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশের সময় : ০১/০১/২০২৩, ৭:২৭ অপরাহ্ণ / ৬১
নববর্ষে লাশ উপহার দিল ভারত: সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার নিন্দা

আজ সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, “জাতি রাষ্ট্র নিশ্চুপ থাকা আশঙ্কাজনক। আর কত বাংলাদেশী নিরস্ত্র-নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করলে আমাদের জাতি রাষ্ট্রের টনক নড়বে।

বারবার সীমান্তে গুলি, খুন, নির্যাতন, লাশ গুম এটি কোন ধরণের বন্ধুত্বের নমুনা? বন্ধুর বুকে বন্ধু কখনো গুলি চালায় না। এটি পৃথিবীতে নজিরবিহীন। অথচ আমাদের রাষ্ট্র নিশ্চুপ। শেখ হাসিনা কোন ভাবেই এই হত্যার দায় এড়াতে পারেননা। নাগরিককে রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।”

তিনি বলেন, “স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজকে হুমকির সম্মুখীন। জাতীয় ঐক্যই একমাত্র সমাধান। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রধান চ্যালেঞ্জ আধিপত্যবাদের এদেশীয় দালালরা। ২০০০-২০২১ পর্যন্ত ২১ বছরে প্রায় দুই হাজার আর ২০২২ সালে বিএসএফ২৩ জন ও খাসিয়ারা ০৩ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। ১১ জনকে উঠিয়ে নিয়েছে। দেশের নিরস্ত্র-নিরীহ নাগরিকদের সীমান্তে হত্যার ধারাবাহিকতায় এই হত্যা। যা খুবই নিন্দনীয়।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের সরকার এবং বিবেকবানদের নিবার্ক থাকা সন্দেহজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। বারবার সীমান্ত হত্যা, সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন, আমাদের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বকে অবহেলার সামিল। জাতি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে ভারত শ্রদ্ধা ও সম্মান করে না। যা মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে অবজ্ঞার শামিল। ফেলানী হত্যার বিচার না হলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না।”

পত্রিকা একাত্তর/ এয়াকুব শরীফ