সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের জেলা হিসেবে খ্যাত, বরিশাল বিভাগে অবস্থিত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় একটি জেলা পটুয়াখালী। নাগরিক জীবনের কোলাহল থেকে বেড়িয়ে সাগরের বিশালতা উপভোগ করতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে আসেন পর্যটকরা। তবে এখানে এসেও মিলছেনা স্বস্তি। পুরো কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত দখল করে রেখেছে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকরা। এতে বিরক্ত হচ্ছে পর্যটকরা। শুধু তাই নয়, এর ফলে সৈকত এলাকায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
তবে বেপরোয়া এসব মোটরসাইকেল চালকদের নিয়ন্ত্রণে টুরিস্ট পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও তা খুব বেশি কাজে আসছে না বলে জানান স্থানীয়রা।
এসব মোটরসাইকেল থাকার কথা সড়কে কিন্তু পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে তারা বেপরোয়া গতিতে সৈকত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর এর ফলে সৈকতে থাকা নারী ও শিশুসহ পর্যটকরা থাকে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে।
ঘুরতে আশা এক পর্যটক বলেন, ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সৈকত এলাকায় এসব মোটরসাইকেলগুলো। মোটরসাইকেল চালকরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে একটু পর পর বিচ এলাকায় দিচ্ছে চক্কর। এর ফলে সৈকতে খেলাধুলা করা ছোট ছোট শিশুরা যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
তবে এ বিষয় মোটরসাইকেল চালকরা বলেন, দূরে কিংবা সড়কে থাকলে পর্যটকদের পাওয়া যায় না তাই তারা সৈকতে ঘুরে বেড়ান। তাই ছাতা ও বেঞ্চের কাছে গিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলি। যদি কেউ দূরে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যেতে চায় তবে সেখানে নিয়ে যাই, এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিচ এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে আসে।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জানান, সৈকত এলাকায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের পাশাপাশি পর্যটকরাও ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। টুরিস্ট পুলিশ এ বিষয়ে সব মাইকিং ও টহল দিয়ে তাদের কে সরিয়ে দেয়। তবে এরপরও অনেকে আইন অমান্য করে মোটরসাইকেল চালাচ্ছে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। পায়ে হেটে দীর্ঘ এই সৈকত ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। তাই অধিকাংশ পর্যটকরা মোটরসাইকেলে করে ঘুরে থাকেন। তবে সৈকত এলাকায় বা পর্যটকদের নিয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয় একটি নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
পত্রিকা একাত্তর/ মারুফ ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :