যশোর শহরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এরফান ফরাজী (২৫) নামে এক মুদি দোকানদার খড়কী নিশাত মোড়ে খুন হয়েছেন।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে প্রশাসনিক সদস্যরা খুনের মোটিভ উদঘাটনে মাঠে রয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খুনীদের ধরা সম্ভব না হলেও কারা তা প্রশাসন জানতে পেরেছেন। দফায় দফায় আসামী আটকে র্যাব, থানা পুলিশ, ডিবি অভিযান চলছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় আসামীরা বয়সে প্রত্যেকের বয়স আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে। এদের সংখ্যা ছিল পাঁচজন বা তার বেশি। খুন করে এদের দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। তবে কি কারনে তারা খুন করেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। খুনীদের একজন ফুলহাতা জামা পরিহিত। জামার নীচে কমলা রঙের গেঞ্জি, পরনে জিন্সের প্যান্ট। আরেকজন কমলা রঙের ফুলহাতা গেঞ্জি পরিহিত। তার মুখে হাল্কা দাড়ি। তার পাশে আরেক খুনী। যার পরনে আকাশী নীল ফুলহাতা গেঞ্জি যার বুকে সাদা চৌকো ডিজাইন। আরেক খুনীর হাফহাতা কালো গেঞ্জি, পরনে জিন্সের ব্লু রঙের প্যান্ট। বিকালের দিকে এসব খুনীরা দৌড়ে একটি সাদা প্রাইভেট কার অতিক্রম করছে দেখা যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল ৪টার দিকে এরফান কারবালা কবরস্থনের পাশে দাড়িয়ে ছিলো। এসময় তিনজন দূর্বৃত্ত এসে এরফানের বুকে ছুরি মেরে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত ডাক্তার বিচিত্র মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মূলত বুকে ছুরিকাঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে যশোর শহরের নিশাত মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এরফান ফরাজী যশোর শহরের খড়কি ধোপাপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পত্রিকা একাত্তর/ মোজাপ্ফার হুসাইন