শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর উপ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আরিফ মাদবরকে প্রাননাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী সুমন আহমেদ ভূইয়া বিরুদ্ধে। ইয়ারপুর উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মোশাররফ হোসেন মূসার পক্ষে কাজ করার জন্যই তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরিফ মাদবর।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সাধারণ ডায়েরীর বিষয়টি পত্রিকা একাত্তর কে নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম।
এর আগে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর রাতে নৌকা মনোনীত প্রার্থী মোশারফ হোসেন মূসার সমর্থক আরিফ মাদবরকে মুঠোফোনে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকি দেন বিদ্রোহী প্রার্থী সুমন আহমেদ ভুইয়া।
ভুক্তভোগী ও জিডি সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৪টার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী সুমন আহমেদ ভুইয়া নৌকা মনোনিত প্রার্থী মোশারফ হোসেন মূসার সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতা আরিফ মাদবরকে মুঠোফোনে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সুমন আহমেদ ভুইয়া আরিফ মাদবরকে বলেন তোকে মেরে ফেলা আমার এক মিনিটের ব্যাপার। পরে ফোনটি কেটে দেন। পরে এ ব্যাপারে আরিফ মাদবর বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করেন।
প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আরিফ মাদবর পত্রিকা একাত্তর কে বলেন, “আমি নৌকার পক্ষে কাজ করি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি এটাই আমার অপরাধ। আমি ওর (সুমন আহমেদ ভুইয়া) পক্ষে কাজ করিনা কেন? এ জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিয়েছে। সে দিন (৩ ডিসেম্বর) রাত ৪টার সময় মদ খেয়ে আমাকে ফোন করে এক মিনিটের মধ্যে মেরে ফেলবে এমন হুমকি দেয়।”
হুমকির বিষয়ে অভিযুক্ত সুমন আহমেদ ভূইয়া বলেন, “না এটা মিথ্য, ও (আরিফ মাদবর) আমার বন্ধু মানুষ, আমি ওকে হুমকি দেব কেন? সে থানায় জিডি করেছে, পুলিশ এটি তদন্ত করে দেখবে। সমস্যা কি?”
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম পত্রিকা একাত্তর কে বলেন, এ বিষয়ে একটি জিডি পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।