পত্রিকা বিলি করে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৪.৫০ পেয়েছে গুরুদাসপুরের ভ্যানচালক আশরাফুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম ইমন। উপজেলার শিকারপুরের কৃষি কারিগরি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।
দরিদ্রতা দমাতে পারেনি ইমনকে। দশ বছর বয়সে মা হারা হয় ইমন। দাদীর কাছেই তার বেড়ে ওঠা। ছয় মাস আগে ক্যান্সার আক্রান্ত দাদিও মারা যায়। থেমে যায় ইমনের পড়াশোনা। চলনবিল প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আক্কাছ ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ইমন আবার পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়।
দিনের প্রথামার্ধে পত্রিকা বিক্রি এবং বিকেল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এক ডেন্টিস্টের চেম্বারে চাকরি করে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করতো ইমন। প্রতিদিন রাতে মাত্র এক ঘন্টা করে পড়াশোনা করত সে। ঢাকায় গার্মেন্টসে কর্মরত বাবা আশরাফুল ইসলাম বাড়ি ফিরে এলে ইমন পড়াশোনায় আরও আগ্রহী হয়। ছেলের পড়াশোনার আগ্রহ দেখে ঢাকায় না গিয়ে এলাকায় ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতে থাকেন আশরাফ।
প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহিম টপি বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এমন আগামীতে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। ৫ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার ইমনের ইচ্ছা সেনাবাহিনীতে চাকরি করার।
পত্রিকা একাত্তর/ সোহাগ আরেফিন