‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ কবিগুরুর এ পংক্তিকে সামনে রেখে নড়াইলে নানা আয়োজনে চলছে বর্ষবরণ। উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও নববর্ষ উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে আজ (শুক্রবার) সকালে সুলতান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় প্রভাতী সংগীত ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে দিবসের শুভসূচনা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর, পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন, পৌর মেয়র আঞ্জমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফকরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম, জেলা কালচারাল কর্মকর্তা মোঃ হামিদুর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ষবরণকে ঘিরে নড়াইলে বিভিন্ন আয়োজন শুরু হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, মূর্ছনা সংগীত নিকেতন, সরগমসহ প্রায় ২০টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা সুলতান মঞ্চ ও শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে শত কন্ঠে পঞ্চকবির গান, শোভাযাত্রার জন্য মুকুট ও মুখোশ, নান্দনিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে শিল্পী সুলতান মঞ্চ ও শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে প্রভাতি গানের অনুষ্ঠান, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, চিত্রাংকন, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, হাড়ি ভাঙ্গা, লাঠিখেলা ও ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভা।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে ১৪২৭ ও ১৪২৮ নড়াইলের সংস্কৃতি প্রেমি মানুষ দু’বছর ঘরবন্দি ছিলেন। ১৪২৯ সনে পবিত্র রমজান মাসের কারণে একদিনের সীমিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারও পবিত্র রমাজের কারণে বিকেলের মধ্যে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু
আপনার মতামত লিখুন :