গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আমন ধান কাটামাড়াই শুরু করেছে কৃষকরা। নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও ফলন এবং বাজারদর ভাল হওয়ায় খুশি কৃষক। তবে দিনমজুর সংকটের আশঙ্কা করছে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কৃষকরা। নিম্ন শ্রেণির কৃষক ও বর্গা চাষিরা পরিবার পরিজন নিয়ে ধান কাটামাড়াই করতে পারলেও বিপাকে রয়েছে অনেকে।
ধানের চেয়ে খড়ের বাজারদর ভাল ও তালতরকারি চাষাবাদের কারণে উঁচু এবং চরাঞ্চলের কৃষকরা আগাম ধান কাটামাড়াই শুরু করে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৯ হাজার ১৯৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে।
এক বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদে মোট খরচ হয় ৮ হাজার টাকা। ফলন মোটামুটি ভাল হলে ১৫ হাজার টাকার ধান বিক্রি করা যায়। এছাড়া বর্তমানে এক বিঘা জমির খড় বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। উপজেলার দহবন্দ গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে আমন চাষাবাদ করেছে।
এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে দুই বিঘা জমির ধান কেটেছে। তিনি আশা করছেন প্রতি বিঘা জমিতে তার ফলন হবে ১৫ হতে ১৬ মন। বর্তমান বাজারে যার দাম ১২ হতে ১৩ হাজার টাকা। পাশাপাশি খড়ের দাম ৪ হাজার হতে ৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন কাটামাড়াইয়ে দিনমজুরকে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। খুব বেশি লাভ হবে না।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা লিটন মিয়া জানান, নদীর চরাঞ্চলে ধানের ফলন অনেক ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকরা সবজি চাষাবাদের জন্য আগাম ধান কাটামাড়াই শুরু করেছে। তিনি বলেন ধানের খড় বিক্রি করে কৃষকরা এখন অনেক লাভবান।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, চলতি মৌসুমে আমনের ফলন অনেক ভাল হয়েছে। নানা প্রতিকুলতা থাকার পরও আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জিত হবে আশা করছি। কৃষকরা আগাম জাতের ধান কাটামাড়াই শুরু করেছে। অনেক কৃষক আগাম আলু, মরিচ, পেঁয়াজ, কপি সহ সবজি চাষাবাদের কারণে ধান কাটামাড়াই শুরু করেছে।
পত্রিকা একাত্তর/ হযরত বেল্লাল
আপনার মতামত লিখুন :