রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় ও ধানের লাভজনক দাম নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির গঙ্গাচড়া উপজেলা কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় কৃষকেরা দাবি করেন, ন্যূনতম ১৫শ টাকা মণ দরে খোদ উৎপাদকের কাছ থেকে ধান ক্রয়। ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করা। অবিলম্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করা। সারের বর্ধিত দাম প্রত্যাহারসহ বীজ, কীটনাশক, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম কমানো, সবজি সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত হিমাগার তৈরি, বিএডিসিকে সচল, পল্লীরেশণীং ও শস্য বীমা চালু করা, পল্লী বিদ্যুৎ ও ভূমি অফিসের অনিয়ম ও হয়রানি এবং দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতির গঙ্গাচড়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির প্রধান বুনিয়াদ কৃষি। পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি কৃষির উপর নির্ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। আর এখানে কৃষি ও কৃষক সবচাইতে নিগৃহীত। দেশে বোরো ধান উঠছে, ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। প্রতিবছর সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করলেও কৃষক ধান, পাট, গম, আলুসহ কোনও ফসলেরই লাভজনক দাম পাচ্ছে না।
সম্প্রীতি দফায় দফায় সার, জ্বালানি তেল ও কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে কৃষক ফসলের লাভজনক দাম পাচ্ছে না। আমরা বাংলাদেশ কৃষক সমিতির পক্ষ থেকে কৃষি ও কৃষকের জন্য অন্যান্য খাতের ন্যায় আনুপাতিকভাবে বাজেটে বরাদ্দের রাখার দাবী জানিয়ে আসছি কিন্তু সরকার কর্ণপাত করেনি, আমরাও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি’।
পত্রিকা একাত্তর/ সানজিম মিয়া
আপনার মতামত লিখুন :