সুন্দরগঞ্জে অনাবৃষ্টি ও খরায় ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি


উপজেলা প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ প্রকাশের সময় : ২৯/০৪/২০২৩, ৮:২১ অপরাহ্ণ /
সুন্দরগঞ্জে অনাবৃষ্টি ও খরায় ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি

অসময়ে অনাবৃষ্টি, প্রচন্ড তাপদহ এবং খরার কারণে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আমের গুটি ঝড়ে পড়ছে। সে কারণে চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি বসতবাড়িতে আমের আকাল দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত উপজেলার উপর দিয়ে বৃষ্টি বাদল প্রবাহিত হয়নি। যার কারণে তোষাপাট, শাকসবজি ক্ষেতে রসপম না থাকায় অঙ্কুর এবং চারা গজাচ্ছে না এবং আম বাগানের গুটি ঝড়ে পড়ছে।

সরকারিভাবে আম গাছের হিসাব নিকাশ না থাকায় বেসরকারি জরিপ মোতাবেক উপজেলার কমপক্ষে তিন লাখ পরিবারের প্রতিটি বাড়ি আমগাছ রয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস ধরে বৃষ্টি বাদল না হওয়ায় প্রতিটি আমগাছের আমের গুটি ঝড়ে পড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে এবং খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি আমগাছের গোড়ায় অসংখ্য আমের গুটি পড়ে রয়েছে।

দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের বাবু মিয়া জানান, তার বাসায় চারটি হাড়ি ভাঙ্গাসহ অন্যান্য আম গাছ রয়েছে। প্রতিবছর পরিবারের সদস্যরা তাদের চাহিদা মেটানোর পর বিক্রি করত। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে আম গাছের প্রায় সবগুলো গুটি ইতিমধ্যে ঝড়ে পড়ে গেছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারণে চলতি মৌসুমে স্থানীয়ভাবে আমের ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলার ঝিনিয়া গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ হক্কালী মিয়া জানান, তাঁর জীবন দশায় চৈত্র-বৈশাখ মাসে বৃষ্টি হয় না, এটা নজির বিহীন। দিন দিন আরও কত কিছু দেখা যাবে সৃষ্টিকর্তা তা ভাল জানেন। তবে এটা আল্লাল তালার গজব।

উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, অনাবৃষ্টি এবং প্রচন্ড তাপদহের কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আবাদি জমিতে রস পম না থাকায় অনেক সবজি ক্ষেতে সেচ দিতে হচ্ছে। এছাড়া আমগাছ বা বাগানে বৃষ্টির অভাবে গুটি ঝড়ে পড়ছে। তবে বৃষ্টি বাদল হলে এর পরিবর্তন ঘটবে।

পত্রিকা একাত্তর/ হযরত বেল্লাল