ইউনিয়নবাসীর হৃদয় জুড়ে আব্দুল মতিন মাস্টার

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

২২ জানুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

ইউনিয়নবাসীর হৃদয় জুড়ে আব্দুল মতিন মাস্টার

বলছি একজন ইউপি চেয়ারম্যানের কথা, জ্ঞানী-গুণে সততায় -দক্ষতায় একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন আব্দুল মতিন মাস্টার। কর্মময় জীবন শিক্ষকতা দিয়ে শুরু হলেও, এখন তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ৫ নং ধারাবারিষা ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনে একনিষ্ঠ আব্দুল মতিন মাস্টার। জন্মলগ্ন থেকেই সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান।

পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায়, ধারাবারিষা ইউনিয়নে সিধুলী গ্রামের চাঁদ মহম্মদ মন্ডলের কনিষ্ঠপুত্র আব্দুল মতিন মাস্টার। পুরো পরিবারটি এক রাজনৈতিক পরিবার হিসেবে পরিচিতি ঘটে। এই পরিবারের রাজনৈতিক হাতেখড়ির সূচনা ঘটে বাবা চাঁদ মোহাম্মদ মন্ডলের মধ্য দিয়ে। চাঁদ মোহাম্মদ মন্ডল ছিলেন একজন সৎ - সাহসী এবং ত্যাগী প্রবীণ নেতা। পাকিস্তান সময়ে গ্রাম সরকার ও ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার-ই ধারাবাহিকতায় আব্দুল মতিন মাস্টারের বড় ভাই আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও ২০১৪ সালে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উত্তরবঙ্গের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস এমপির স্পর্শতায় আব্দুল মতিন মাস্টারকে অনুপ্রাণিত করে রাজনৈতিক জীবনের আত্মপ্রকাশ ঘটাতে।ধারাবারিষা প্রতিটি মানুষের ভালোবাসায় শিক্ষক থেকে হয়ে উঠেন জনপ্রতিনিধি, নির্বাচিত হন চেয়ারম্যান।

সর্বপ্রথম ২০১১সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থিত হয়ে নির্বাচনে বিএনপি'র( হেভিওয়েট) প্রার্থীকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রথমবার নির্বাচিত হয়েই,তার সততা- দক্ষতাসহ সবকিছু দিয়ে মানুষের মনকে জয় করে নেন, গড়ে তুলেন নিজেকে একজন আদর্শবান নেতা হিসাবে।

আবারও ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত হয়ে জাতীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।২০১৬ সালে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে তার সততা, দক্ষতা, ন্যায়-নিষ্ঠা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করেন।তার এমন চৌকস, সুদক্ষ ও নিরুপমভাবে ইউনিয়ন পরিচালনা করা দেখে মনোমুগ্ধ হয় ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ,জায়গা করে নেন প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে।এছাড়াও ২০২১ সালে ৬ অক্টোবরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননায় ভূষিত হন।

সেই সততা দক্ষতা ন্যায়-নিষ্ঠার বহিঃপ্রকাশ ঘটে আবারও ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের মাধ্যমে। আব্দুল মতিন মাস্টার তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী হন।নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে প্রায় ৩০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে,৫ জানুয়ারি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় অর্জন করেন

আব্দুল মতিন মাস্টারের সাথে একান্ত সাক্ষাতে তিনি বলেন, জানিনা জনগণকে কতটুক ভালোবাসতে পেরেছি, তবে হ্যা, যতটুক ভালবাসতে পেরেছি তার থেকেও জনগন আমাকে দ্বিগুণ ভালোবেসেছে। তাদের এ ভালবাসার ঋণ, আমি কোনদিনও শোধ করতে পারব না। ধারাবারিষার প্রতিটি মানুষের কাছে আমি চিরঋণী। জনগন যদি আমাদের পরিবারকে ভালো না বাসতো, তাহলে পর পর একই পরিবার থেকে তিনজন চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগই পেতাম না,আর আমিও টানা তৃতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারতাম না।আমি ২০১১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছরে আমার নির্বাচিত এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কাজ করেছি। রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে প্রতিটা উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে অতোপ্রোতভাবে বিলিয়ে দিয়েছি। গরিব, দুঃখী, অসহায়, মেহনতী মানুষের পাশে থেকে সর্বদা তাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছি। জনগণ আবারও আমাকে ভালোবেসে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন, তার জন্য চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জনগণের পাশে থেকে সেবক হয়ে ধারাবারিষা ইউনিয়নকে একটি আধুনিক, রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে, ইউনিয়ন বাসী সবার কাছে দোয়া চান তিনি।

পত্রিকা একাত্তর/ সোহাগ আরেফিন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news