বিবিষন-সিঙ্গাবাদ বাঁধ পরিদর্শন করেন ইউএনও

স্টাফ রিপোর্টার, গোমস্তাপুর

২৩ মে, ২০২২, ১ year আগে

বিবিষন-সিঙ্গাবাদ বাঁধ পরিদর্শন করেন ইউএনও

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিভীষণের উপর অস্হায়ী ভাবে নির্মাণ করা বাঁধ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা খাতুন। আজ সোমবার সকালে তিনি বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া স্হানে উপস্থিত হয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলেন।

এ সময় উপস্হিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার, রাধানগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফুয়াদ আলী ও রইসউদ্দিন।

উল্লেখ্য যে, গত শনিবার ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র ঢলে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় সিঙ্গাবাদ পাথার এলাকায় নতুন করে আবার ঢলের পানি তীব্র বেগে প্রবেশ করছে। ফলে বিলে থাকা শত শত বিঘা জমির ধান কাটা এবং উঠা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা।

কৃষকরা জানায় গত কয়েকদিন যাবত বিলে পুণর্ভবা নদীর পানি প্রবেশ করায় এবং পানির তোড়ে অস্হায়ী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ঘাটের উপরে থাকা প্রায় অর্ধশতাধিক ধান বোঝাই ট্রাক্টর আটকা পড়েছিল শনিবার ও রবিবার সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায় কৃষকগণ আতঙ্কিত হয়ে নৌকাযোগে কিছু কিছু করে ধান সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।

বাঁধ ভেঙে বিল এর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। আটকে পড়া ধান পরিবহন করতে কৃষকদের খুব কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। অনতিবিলম্বে বাঁধটি সংস্কার করে বিলের সাথে সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্হা চালু করার জোর দাবি জানান তারা।

আরও উল্লেখ্য, ভারতের সাথে বাংলাদেশের পূর্নভবা নদীর সংযোগ থাকায় দ্রুত ঐ নদীর মাধ্যমে বিল থেকে পানি প্রবেশ করছে। গত সপ্তাহের প্রবাহিত পানির তোড়ে কৃষকদের কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

কৃষকরা খুব কষ্ট করে ধান উত্তোলন করে কিছুটা রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। ঐ এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি বিল কুজাইন, সিঙ্গাবাদ পাথার ও জশৈল বিভীষণ খাড়ীর ঘাটে কালভার্ট বা সেতু নির্মাণের কোনো ব্যবস্হা না হওয়ায় ধান সংগ্রহ করতে তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

রাধানগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন পানির অব্যাহত বৃদ্ধির কারণে আমার ইউনিয়নে বিল কুজাইন ও সিঙ্গাবাদ বিল এলাকার কৃষকদের হাজার হাজার মণ ধান বর্তমানে পানি বন্দি অবস্হায় রয়েছে। বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে কাটা ধানগুলো পরিবহন করা যাচ্ছে না।

কৃষকদের এত অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে যা আমার জীবনে আমি দেখিনি। বিষয়টি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয় আমরা স্হানীয় ভাবে সমস্যাটি সমাধান করে কৃষকদের ধান উঠানোর ব্যবস্হা করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ওই এলাকার বাসিন্দা এবং গোমস্তাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহ বলেন, উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় বিলের এই দুরাবস্হার কথা বারবার তুলে ধরা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্হা গ্রহণ করা হয়নি। তবে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার নতুন যোগদান করেছেন। তিনি বিষয়টি জেনেছেন এবং আজকে সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আমি আশাবাদী।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা খাতুন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আজ সোমবার সকালে আমি অস্হায়ী বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া স্হান সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্হানীয় জন প্রতিনিধিগনের সাথে কথা বলেছি। উর্ধ্বতন কর্মকতাগনের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্হা গ্রহন করবো।

পত্রিকা একাত্তর/ ইয়াহিয়া খান রুবেল

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news