ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নাগুন ইউনিয়নের ছোট খোচাবাড়ি হাট পাড়ায় এক আদিবাসির বাড়িতে পালিত একটি ছাগল তিনটি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। বাচ্চা তিনটির মধ্যে দুইটি বাচ্ছা বিরল আকৃতির ও আরেকটি বাচ্চা সাভাবিক সুস্থ। এতে এলাকায় চাঞ্চল দেখা দিয়েছে। আর ওই বাড়িতে ছাগলে বাচ্চা গুলো দেখতে দলে দলে ছুটে যাচ্ছেন স্থানীয়রা।
রোববার (০৬ নভেম্বর) সকালে হাটপাড়ার বাসিন্দা আদিবাসি বুধু হাজদা স্ত্রী মানকো মুর্মু পালিত এক ছাগল এমন বিরল বাচ্চা জন্ম দেয়। খবর পেয়ে রোববার বিকালে সরাসরি গিয়ে দেখা যায়, ছাগলটি তিনি বাচ্চার মধ্যে েএকটি খাসি ও দুইটি হালোয়ান। এর মধ্যে হালোয়ান বাচ্চা দুইটিই বিরল।
একটি বাচ্চার চার পা ও দুই কান থাকলেও নেই নাক, দুটি চোখ একসাথে ও মাথায় একটি লাল বলের মতো টিউমার । আরেকটির চার পা ও দুই কান আছে কিন্তু নাক ও জিহ্বা বিরল এবং দুইটি বাচ্চায় জিহ্বা বেড় করে থাকে।স্থানীয়রা বলছেন, এর আগে তাদের এলাকায় এমন ছাগল বাচ্চা আগে কখনো দেখেননি। এটি একটি আজব সৃষ্টি ও ঘটনা।
দেখতে আসা স্থানীয় সনু বর্মন বলেন, লোকজনের কাছে শুনে আমি দেখতে আসলাম। এমন ছাগলে বাচ্চা আগে আর আমাদের এইদিকে কখনো দেখিনি এবাই প্রথম।মনোয়ারা বেগম নামে ওই গ্রামের এক গৃহবধু বলেন, বাড়ির পাশে মানকো মুর্মুর এক ছাগল বিরল দুই বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। এতে এলাকায় মানুষ বাচ্চা গুলো দেখতে ছুটে আসছেন। এটি আসলে এক আজব সৃষ্টি ও ঘটনা।
দেখতে আসা বিজয় নামে এক যুকব বলেন, ছাগলের বাচ্চা দুটির মধ্যে একটির দুই ছোখ একসাথে ও নাক নাই এবং মাথায় একটি টিউমাররের মতো দেখা যাচ্ছে। আরেকটির চোখ আছে কিন্তু নাক দেখতে বিরল ও দুইটি বাচ্চায় জিহ্বা বেড় করে থাকে। দেখে একদিক থেকে ভালোও লাগছে আবার খারাপও লাগছে। কারণ বাচ্চা দুটি খেতে পারছে না।
ছাগলের মালিক মানকো মুর্মু বলেন, আগেও এই ছাগলটি অনেক বাচ্চা দিয়েছে কিন্তু এমন বাচ্চা হয়নি। এবারেই প্রথম ছাগলটির এমন বাচ্চা হয়েছে। তবে খাসি বাচ্চটি খেতে পারছে ও সুস্থ আছে। আর দুটি হালোয়ান বিরল আকৃতির বাচ্চা গুলো নিজে তার মায়ের দুধ খেতে পারছেনা।
চামচে করে তাদের জিহ্বায় ঢেলে দেওয়া লাগে তারপরে একটু খেতে পারে। এমনিতে তারা খেতে পারছে না। আর এমন খবর শুনে এলাকার শত শত মানুষ ছুটে আসছেন আমাদের বাড়িতে।
ছাগলের এমন বাচ্চা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। এমনটি প্রজননসহ জন্মগত ও জীনগত বিভিন্ন কারণে হতে পারে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. আবুল কালাম আজাদ।
পত্রিকা একাত্তর / আনোয়ার হোসেন
আপনার মতামত লিখুন :