ঝিনাইদহের এক শিক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখের ওপর হিরো আলমের ছবি দেওয়া স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার লালন একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম।
ভারতে সদ্য সমাপ্ত জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ওই সেলফিটি তোলেন।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর তিনি তার ফেসবুক টাইম লাইনে ওই পোস্টটি শেয়ার করেন। তার আগে সুমন আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তি এডিট করা ওই ছবিটি পোস্ট করেন। ছবির ওপরে লেখেন আমার মনের মতো সেলফি। হাজার সেলফির মাঝে এক ঝলক তারার মতো। সুমন আহম্মেদের ওই পোস্টটি শিক্ষক শহিদুল ইসলাম শেয়ার করার পর বিতর্কের মুখে পড়েন।
তার পোস্টে অনেকে নানা মন্তব্য তুলে ধরেন। তার পোস্টে মিনারুল নামে একজন মন্তব্যে করেন, ‘ন্যাক্কারজনক, উনি এটি শেয়ার করে নিজেকে কি প্রমান করতে চাচ্ছেন।’ এমডি জীবন নামে একজন লেখেন, ‘শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।’
একপর্যায়ে বিতর্কের মুখে শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম পোস্টটি ডিলেট করে দিয়ে লেখেন, আমার অজান্তে আমার ছোট মেয়ে ওই ছবিটা শেয়ার করেছে। ওর বয়স ২ বছর। তার জন্য আমি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে জানতে মো. শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে লালন একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) লাভলী আক্তার জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। দোষী হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জোড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। এমন পোস্ট শেয়ার করা ওই শিক্ষকের ঠিক হয়নি। প্রধান শিক্ষককের মাধ্যমে জরুরিভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এমন বিষয় আমার জানা নেই। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান জাকারিয়া মোবাইল ফোনে জানান, এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পত্রিকা একাত্তর /মাহফুজুর রহমান