স্বেচ্ছাসেবকদল নেতাদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি

২৬ মে, ২০২২, ১ year আগে

স্বেচ্ছাসেবকদল নেতাদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা

চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় একটি রেষ্টুরেন্টে নাস্তা করার সময় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এক বিবৃতিতে এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নগরীর ব্যস্ততম জিইসি এলাকার একটি রেষ্টুরেন্টে নাস্তা করার সময় এই হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত। তারা হোটেলে ডুকে বিনা কারনে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতাদের নির্মম ভাবে পিঠিয়ে আহত করেছে। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হোটেল থেকে তাদের রাস্তায় ধরে এনে কিল, ঘুষি, লাথি মেরেছে। এর ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এটা ছাত্রলীগের পরিকল্পিত হামলার ঘটনা। হামলায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু ছাড়াও নগর যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন রুবেল, খুলশী থানার আহবায়ক রায়হান আলম, সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বাবু, যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন ইমন, মো. শাহনেওয়াজ ও বায়েজিদ থানার সদস্য সোহাগ গাজীসহ ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা দেলোয়ার হোসেন, মো. ফয়সাল, মো. নুরু ও মো. শাহীনসহ ৪ জনকে মেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত কিছুদিন ধরে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছে। কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।

এই হামলার ঘটনাগুলো থেকেই প্রমাণিত হয় যে, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাস ও ত্রাস সৃষ্টি, হত্যা ও গুম-খুনের মাধ্যমেই বিরোধী দলকে নির্মূল করার জন্য ধারাবাহিকভাবে ওইসব ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ। আগের মতোই নিজেরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বিরোধীদলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে দূরে রাখার হীন চক্রান্ত করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, একদিকে এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের কথা বলছে, অন্যদিকে হামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হয়রানি ও কারাগারে নিক্ষেপ করে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় যেতে চায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মিছিল সমাবেশ ও সভা অনুষ্ঠান করা আমাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। এই জঘণ্য হামলার মধ্য দিয়ে সরকারী দল তাদের ফ্যাসীবাদী খুন, গুম নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দল এবং ভিন্নমতকে দমন করে চলেছে। সকল রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে কর্তৃতৃবাদী শাসন চিরস্থায়ী করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

প্রকান্তরে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। চট্টগ্রামের এই হামলার ঘটনা একটি কলংকজনক অধ্যায় হিসাবে বিবেচিত হবে।নেতৃবৃন্দ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

পত্রিকা একাত্তর /ইসমাইল ইমন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news