গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আজমল হোসেন পলাশের থাপ্পরে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে গ্রাম পুলিশ ( চকিদার) বন্দে আলী। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার তারাপুর ইউনিয়নের চৈতন বাজার সংলগ্ন স্থানে। পলাশ খোর্দ্দা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে এবং বন্দে আলী ওই গ্রামের নাইম উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, গত রোববার পূর্ব ঘটনার জের ধরে যুবলীগ নেতা পলাশ ও তার সহপাঠিরা চকিদারের ছেলে এবং ভাতিজাকে বাজারে মারপিট করে। এনিয়ে পারিবারিকভাবে বাকবিতন্ডা হয়। মঙ্গলবার চকিদার বন্দে আলী বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরার পথে চৈতন্য বাজার সংলগ্ন স্থানে পলাশ তার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে চর, থাপ্পর, কিল ঘুষি মেরে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বর্তমানে চকিদার চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চকিদার বন্দে আলী জানান, সে চেয়ারম্যানের বাড়ি হতে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে তার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে বেদম মারপিট করে। পরে তাকে স্থানীয়রা নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এর আগের দিন সোমবার পলাশ পূর্ব শক্রতার জের ধরে আমার ছেলে ও ভাতিজাকে বেদম মারপিট করে।
ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি পলাশ জানান, চকিদারের ছেলে ও ভাতিজাকে আমি মারপিট করিনি। অন্য ছেলেদের সাথে ঘটনা ঘটেছে। সেই বিষয় নিয়ে আমার বোনের বাড়ির সামনে আমাকে গালমন্দ করে। আমি চকিদারের মোটর সাইকেল থামিয়ে তাকে গালমন্দ করার বিষয়টি জিজ্ঞাস করলে, সে আমার উপর তেঁড়ে আসে। কখন আমি তাকে একটা থাপ্পর দিয়েছি।
তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি চকিদারের মাধ্যমে জেনেছেন।
পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এম এ আজিজ জানান, এ নিয়ে চকিদার থানায় একটি এজাহার করেছে। পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। মামলার আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/ হযরত বেল্লাল