রেশন কার্ডের চাল আত্মসাৎ – ইউএনও-র কার্যালয়ে অভিযোগ


পত্রিকা একাত্তর প্রকাশের সময় : ১১/১১/২০২২, ৩:৩৩ অপরাহ্ণ / ৬২
রেশন কার্ডের চাল আত্মসাৎ – ইউএনও-র কার্যালয়ে অভিযোগ

শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর হতদরিদ্র ভোক্তাগণ ব্যাতীত অন্য কেউ যাতে সুবিধাভোগ করতে না পারে সেজন্য স্বল্প মূল্যের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর সুবিধাভোগীদের অনলাইন ডাটাবেইজ তৈরির কার্যক্রম শুরু করেন সরকারিভাবে তারপরেও ইউপি সদস্যরা নিজেরাই এই সুবিধা নিচ্ছে।

দীর্ঘ ৬/৭ বছর ধরে রেশন কার্ডের চাল আত্মসাৎের বিচার চেয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলার গজঘণ্টা ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগমের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী অসহায় মহিলা নাজরীন বেগম।নাজরিন বেগম তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী ।

তিনি গজঘণ্টা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উমর গ্রামের রিকশা চালক শাহিনুরের স্ত্রী।লিখিত অভিযোগসুত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৬ সালে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর রেশন কার্ড চালু হলে ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে রেশন কার্ড দেয়ার কথা বলে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি,ছবি ও নগদ ১৫০ টাকা গ্রহণ করে রেশন কার্ডটি নিজ কবলে রাখেন।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ওই মহিলা ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগমের নিকট রেশন কার্ডের বিষয়ে চাইলে তার কার্ড হয়নি বলে তাকে জানিয়ে দেন ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম।সম্প্রতি রেশন কার্ডের সরকারি ভাবে অনলাইনে ডাটাবেইজ চালু হলে ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম নাজরিনের বাড়িতে গিয়ে তার নামীয় রেশন কার্ডের অনলাইনে ডাটাবেইজ করার কথা বলেন।

অনলাইন ডাটাবেইজ হওয়ার পর নাজরিন কার্ডটি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় ২০১৬ সাল থেকে কার্ডটির চাল উত্তোলন করা হয়েছে।আত্মসাৎ করেছেন ইউপি সদস্য ঝর্ণা। বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামীসহ ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগমের বাড়িতে গিয়ে কার্ডের চাল ফেরত চাইলে ঝর্ণা বেগম ভুক্তভোগীর হাত থেকে কার্ডটি নিয়ে নেন।

তিনি আরও বলেন, আমাকে ভিজিডি কার্ড ও চল্লিশ দিনের কর্মসূচিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। উপায় না পেয়ে আমি ইউএনও স্যারকে আবেদন দিয়ে তার নিকট আমার আত্মসাতকৃত চাল ও রেশন কার্ডটি উদ্ধার সহ  ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগমের শাস্তি দাবি করি।ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম চাল মোবাইল ফোনে বিষয়টি অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ উদ্দিন পিএএ জানান, অভিযোগ পেয়ে উপজেলা খাদ্য অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পত্রিকা একাত্তর/সানজিম মিয়া