বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগর বিএনপি আয়োজিত কর্মসূচির শেষ দিকে চটগ্রাম ১০ আসনের উপ-নির্বাচনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ মহিউদ্দিন বাচ্চু’র লালাখান বাজার ওয়াসা মোড়ের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে বিএনপি কর্মীদের হামলার অভিযোগ তুলে বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালিয়েছে সাবেক যুবলীগের আহবায়কের অনুসারীরা। এসময় পার্কিং করে রাখা দৈনিক জনবানীর এক সাংবাদিকের গাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়।
গত ১৯ জুলাই বুধবার দুপুরে নগর বিএনপির আয়োজিত পদযাত্রা শেষে ফেরার পথে একদল বিএনপি কর্মী মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনি কার্যালয়ে ইটপাটকেল ছোড়ার অভিযোগ উঠে সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা সহ নগর আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নুর আহমদ সড়কস্থ নগর বিএনপির চট্টগ্রামের নসিমন ভবন ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় আবারো দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ করে উপস্থিত নেতাকর্মীরা। যদিও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
এতে দৈনিক জনবানী পত্রিকার সংবাদিক আশিকুর রহমানের ব্যক্তিগত মোটর সাইকেল মহিউদ্দিন বাচ্চুর সমর্থকেরা পরিচয় পাওয়ার পরও বিএনপি কর্মী বলে পিটিয়ে ভাঙ্গচুর করে।
সাংবাদিক আশিকুর রহমান ঢাকা প্রতিদিনকে বলেন, বিকেলে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পর আমার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি নিরাপত্তার জন্য নাসিমন ভবনের সামনে এক সাইটে পার্কিং করে রাখি। তখন হটাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই একদল নেতাকর্মী জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে এসেই চারদিকে ভাঙ্গচুর শুরু করে। তখন আমি আমার গাড়ির সামনে দৌড়ে গিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাকে বিএনপির নেতা বলে হামলা করে। এসময় আমি তাদের সংবাদ কর্মী পরিচয় দিলেও তারা আমাকে মারধর করে সরিয়ে আমার মোটরসাইকেলটিকে লাঠিসোঁটা, লোহার রড দিয়ে আঘাত করতে করতে দুমড়ে মুচড়ে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সঠিক বস্তূনিষ্ট সংবাদ দেশের,দশের কাছে তুলে ধরি। আজ আমাদের কেই সংবাদের শিরোনামে পরিনত হতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আমি সংবাদকর্মী পরিচয় দেওয়ারপরও তারা আমাকে রেহায় দেয়নি। উল্টো আমার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙ্গচুর করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
পত্রিকা একাত্তর/ ইসমাইল ইমন