চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। আন্তর্জাতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশের ৩৭% জনগোষ্ঠী কোন ভাবে একবেলা খেয়ে দিন যাপন করছে। দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতির সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, ওয়াসার মূল্য বৃদ্ধিও। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, লায়ন আসলাম চৌধুরীসহ অসংখ্য নেতাকর্মী আজ কারাগারে, পরিবার থেকে দূরে। ১ লক্ষ মামলায় বিএনপির ৩৪ লক্ষ নেতাকর্মী আসামী। সারাদেশের মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করতে পারেনি, ঈদের যে আনন্দ তা আওয়ামী লীগ সরকার কেড়ে নিয়েছে। ঈদের খুশির পরিবর্তে ঘরে ঘরে আজ মানুষের আর্তনাদ। আওয়ামী লীগের গুম খুনের শিকার মানুষের ঘরে আজ ঈদের আনন্দ নেই, স্বজনহারা পরিবারের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঈদের ২য় দিন রবিবার, (২৩ এপ্রিল) নগরীর কাতালগঞ্জ কিশালয় কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামক কালো আইনের মাধ্যমে। আজকে মিডিয়া সত্য প্রকাশ করতে পারছে না, মানুষ সরকারের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেই তার টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। আমাদের সংবিধানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকলেও বাকশালী সরকার তা হরণ করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজের অবৈধ ক্ষমতার মসনদ টিকে রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। যার কারণে আমেরিকা এসব বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, গণতান্ত্রিক অধিকার সর্বোপরি সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছে। আগামীতেও জনগণের দল হিসেবে বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ে জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে নেতৃত্ব দিবে। জনগণের অধিকার আদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের এর পক্ষ থেকে নগরীর কিশালয় কমিউনিটি সেন্টারে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এসে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুরুতেই বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু, সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, এস এম ফজলুল হক , এম নাজিম উদ্দিন, প্রফেসর সিদ্দিক আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, একরামুল করিম, হুম্মাম কাদের,সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়াসহ,মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন ডাক্তার, সাংবাদিক, পেশাজীবীসহ বিপুল সংখ্যক মহিলা দল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নগর বিএনপির আহবায়ক, জনতার মেয়র, ডা. শাহাদাত হোসেন এর সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় আগত নেতা কর্মীদেরকে ভাত, মেজবানি গরুর মাংস ,মাছ, ডিম, মুরগির মাংস, মুড়িগন্ড, জর্দা ভাত সহ বিভিন্ন আইটেমের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করান।
ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, জেলা বিএনপি নেতা মোঃ ইদ্রিস মিয়া, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, পেশাজীবী নেতা এডভোকেট এনামুল হক, নগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মোহাম্মদ আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু,এড. মুফিজুল হক ভূঁইয়া,গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ,দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন কামরুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন সন্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক নসরুল কদির, সেলিম মো. জানে আলম, অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন মানিক, ডা. সরওয়ার আলম, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ডা. ঈসা চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার,মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী,নগর শ্রমিক দলের সভাপতি আবু তাহের, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী মো. সালাউদ্দীন, আবদুস সাত্তার সেলিম, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম প্রমূখ।
পত্রিকা একাত্তর/ ইসমাইল ইমন
আপনার মতামত লিখুন :