বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণে চিলাহাটি থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করার লক্ষ্যে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটির রেলপথ পরিদর্শন করেছেন ভুটানের একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (১০ই নভেম্বর) সকালে উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নে অবস্থিত চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে পরিদর্শনে আসেন—ভুটানের কাউন্সিলর কিনছো থিনলে, ভুটান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমল প্রধান ও ঢাকা স্থ এডিবি কার্যালয়ের কনসালটেন্ট ফিরোজ আহমেদ।
পরিদর্শন শেষে ভুটানের প্রতিনিধিরা বলেন, অবকাঠামোগত কাজ শেষ করা গেলে চিলাহাটি রেলপথ দিয়ে বাণিজ্যের বড় সম্ভবনা তৈরি। বর্তমানে ভারত থেকে আন্তঃদেশীয় মিতালি এক্সপ্রেস এবং পণ্যবাহী ট্রেন চিলাহাটি স্টেশন হয়ে বাংলাদেশে চলাচল করছে। বাংলাদেশের সাথে বানিজ্য সম্প্রসারণ ও খরচ কমাতে এই রেলপথ ব্যবহার করতে চায় ভূটান। এখন বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। যদি চিলাহাটি রেলপথ ব্যবহার করা গেলে মোংলা বন্দরের দুরত্ব যেমন কমবে, তেমনি অনেক বেশি পণ্য আনা-নেওয়া করা যাবে। ফলে খরচ ও দুরত্ব দুটোই কমবে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ রেলপথ বিভাগ জানিয়েছে, চিলাহাটি রেলপথ ব্যবহারে আশার আলো দেখিয়েছে ভুটান। স্থলবন্দর চালু হয়ে ভুটানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে রেল বিভাগের বহুগুণ রাজস্ব আয় বাড়বে। তবে ২০২৪ সালের পর নিজস্ব পণ্যবাহী ওয়াগন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এছাড়া বর্তমানে যে লুপ লাইনটি আছে সেটির ধারণ ক্ষমতা ৭৫০ মিটার করা হচ্ছে। যার কাজ দ্রুত শেষ হবে। এটি শেষ হলে ৫০টি পর্যন্ত পণ্যবাহী ওয়াগন রাখা সম্ভব হবে।
পরিদর্শন কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন—পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক সুজিত কুমার বিশ্বাস, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ্ সুফি নুর মোহাম্মদ, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলম, ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী, চিলাহাটি–হলদিবাড়ি রেলপথের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম প্রমূখ।
পত্রিকা একাত্তর /রিশাদ
আপনার মতামত লিখুন :