চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন শিকল বাহা এলাকায় স্বামী নিকট স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে এক মহিলার অনশন ও অবস্থান কর্মসূচির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে সংবাদ পেয়ে ২২শে আগষ্ট সোমবার সরজমিনে ঘটনাস্থল চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থানাধীন ৩নং পশ্চিম শিকল বাহা ইউনিয়নের চর হাজারী র, ৮নং ওয়ার্ডের হাজী আব্দুস সবুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় রেশমা আক্তার (৩১) পিতা গোলাম মোস্তফা, জেলা কক্সবাজার, থানা ঈদগাঁও, নাপিত খালি ০৫ নং ওয়ার্ড, স্বামীর নিকট স্ত্রী স্বীকৃতি দাবিতে উক্ত স্থানে ভোর সকাল হতে অবস্থা নিয়েছেন।

এই বিষয়ে রেশমা আক্তারের নিকট বিষয়টি জানতে চায়ে তিনি জানান বিগত ২৬শে জুন ২০১৯ সালে স্বামী মোঃ মোর্শেদ, পিতা হাজী আব্দুস সবুর, চট্রগ্রাম কর্ণফুলী থানার শিকল বাহা ইউনিয়ন'র তার পক্ষ হতে আনীত কাজীর সন্মুখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

পরবর্তীতে স্ত্রীর স্বীকৃতি নিয়ে স্বামীর ভিটেয় গিয়ে সংসার পাতার কথা জানালে নানা রকম অজুহাত প্রদর্শন করতে থাকে, এরই মাঝে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের সমস্যার কথা বলে প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে জানতে পারি আমাদের বিবাহের বিষয়টি গোপন করে পারিবারিক সন্মতিতে অন্যত্র আর একটি বিবাহ করেছেন।

এই সব বিষয়ে স্বামী মোর্শেদের কাছে জানতে চায়লে একপর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে ফোনে আমাকে বিবাহ পরবর্তী বিশেষ মূহুর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার কথা বলে টাকা দাবী করতে থাকে যার ভয়েস রেকর্ড আমার নিকট আছে।

রেশমা আক্তার আরো জানান স্বামী মোর্শেদের জন্য আমি আজ পরিবার সমাজের কাছে অপমানিত,আমার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো তাও বিক্রি করে সেই টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছি, এখন আমি সর্বস্বান্ত। আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই, তার দ্বিতীয় স্ত্রী থাকলে আমি তার পরিবারের সাথে মিলে মিশে স্ত্রীর অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই।

এই বিষয়ে রেশমা 'র দাবী স্বামী মোর্শেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মহিলাকে আমি চিনি না,বিবাহের ডকুমেন্ট দেখাতে বলুন। এই বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার মামুন জানান কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি অবহিত হলে মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে রেশমা আক্তারকে রাত দশটা নিয়ে যায় এবং বিষয়টি আদালতে সুরহার কথা বলে তার অভিভাবকদের জিম্মায় দিয়ে আসেন।

পত্রিকাএকাত্তর /ইসমাইল ইমন