নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নে ইদ্রিস আলী হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মো. হাসিকুল ইসলাম কবিরাজকে মামলা সংক্রান্তে আদালতে পাঠানো হয়েছে আজ।
শুক্রবার (২১শে অক্টোবর) উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব হরিণচড়া মসজিদপাড়া এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধে সংঘটিত ইদ্রিস আলী হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মো. হাসিকুল ইসলাম ওরফে হাসিকুল কবিরাজ (৪৫) কে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা প্রদানের পর আদালতে সোপর্দ করার মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আসামি মো. হাসিকুল ইসলাম উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব হরিণচড়া মসজিদপাড়া এলাকার আমির আলীর পুত্র।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ১৮ই অক্টোবর জমি নিয়ে বিরোধে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ইদ্রিস আলী (৬৫) নামে এক ব্যক্তি লাঠির আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। নিহত ইদ্রিস আলী একই এলাকার সপির উদ্দিনের পুত্র। হামলায় নেতৃত্বদানকারী আসামি মো. হাসিকুল ইসলামও গুরুতর আহত হলে তাকে পুলিশি হেফাজতে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল তাদের দুই পরিবারের মাঝে। সেদিন হঠাৎ গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত হাসিকুল কবিরাজ বাড়ি থেকে কাঁঠাল গাছের ডাল নিয়ে এসে মাথায় আঘাত করে নিহত ইদ্রিসের। এছাড়া কারো সাথে কোনো ঝুট-ঝামেলা হলে তিনি কুফফি করণ জাতীয় বিভিন্ন ক্ষতি করে থাকেন। এমনকি নিহত ইদ্রিসের ভাইকেও কুফরি করণের মাধ্যমে পঙ্গু করে দিয়েছেন। টিউবওয়েলে সিঁদুর, তেলপড়া দেওয়া, মল-মুত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে নিক্ষেপ সহ আরও অনেক রকমের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, গত ১৮ই অক্টোবর সন্ধ্যায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে একজন নিহত হন এবং অভিযুক্ত আসামিকে আহতাবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, দুইদিন পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা শেষে আজ আসামি মো. হাসিকুল ইসলামকে জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই মামলায় এযাবৎ দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, প্রধান আসামি মো. হাসিকুল ইসলামের মা হাচেনা বেগমকে গত বুধবার বিকালে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া মামলাটির বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানায় পুলিশ।
পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ