হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পাড় থেকে মাথাবিহীন লাশের মাথা শায়েস্তাগঞ্জ থেকে উদ্ধার করলো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

৪ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পাড় থেকে মাথাবিহীন লাশের মাথা শায়েস্তাগঞ্জ থেকে উদ্ধার করলো পুলিশ

হবিগঞ্জের খোয়াইনদীর পাড় থেকে মাথাবিহীন লাশের মাথা উদ্ধার করলো শায়েস্তাগঞ্জে একটি পুকুর থেকে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের দাউদ নগর এলাকায় একটি পুকুরে দেহ বিহীন মাথা দেখতে পান স্হানীয়রা।

তাৎক্ষণিক বিষয়টি এলাকাবাসীসহ থানা পুলিশ অবগত করা হলে,শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)অজয় চন্দ্র দেবের নেতৃত্বে

রবিবার(৩ জুলাই) ভোর সকালে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

তবে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড।

এছাড়াও মাথা বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছ।

শায়েস্তাগঞ্জ থানা থেকে বার্তাটি হবিগঞ্জ সদর থানাকে জানানো হলে,হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)গোলাম মর্তুজা মৃত কদর আলীর ভাই ছুরত আলী সহ পরিবারের সকল সদস্যকে অবগত করেন।

খবর পাওয়ার পর পরই সকাল ৯টায় পরিবারের সকল সদস্যরা শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগরে মাছের ঘাট পুকুরে উপস্থিত হন।

এবং এই মাথাটি কদর আলী বলে তারা পুলিশকে নিশ্চিত করেন।

এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)অজয় চন্দ্র দেব জানান,মাথাটি উদ্ধার করে আমরা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তে জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করেছি।

অন্যদিকে হত্যার ঘটনায় পুরো জেলা শহরে এক আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

এবং দ্রুত এই খুনীদের গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোরদাবীও সচেতন মহল।

উল্লেখ্য,গতকাল (২জুলাই)শনিবার

হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পাড়ে কদর আলী(৪৫)নামের এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

একদল দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে মাথা নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহত কদর আলী পৌর এলাকার জঙ্গলবহুলা গ্রামের মঙল মিয়ার ছেলে। তিনি টাক্টরে শ্রমিকের কাজ করতেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানাযায়,

কদর মিয়া খোয়াই নদী থেকে বালু তুলার ট্রাক্টরের শ্রমিকের কাজ করতো।

এবং শক্রুবার বাড়িতে থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।

পরদিন শনিবার(২জুলাই) সকালে তার মাথাবিহীন লাশটি দেখতে পান স্হানীয়রা।

পরে তারা পুলিশ বিষয়টি অবগত করলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেন।

খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলীসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও কদর মিয়ার পরিবারের লোকজনের সাথে আলাপ আলোচনা করেন।

এবং শীঘ্রই অপরাধীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করার আশ্বাস প্রদান করেন।

এবং পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও কাজ করে যাচ্ছে অপরাধীদের গ্রেফতারে।

সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ও নিহতের পরিবারের লোকজন এটা কদর মিয়া লাশ বলে নিশ্চিত করেন।

এমন মর্মান্তিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান,আমাদেরকে শনিবার সকালে স্থানীয়রা খোয়াই নদীর মাছুলিয়া এলাকায় একটি মাথাবিহীন লাশ নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয়।

খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে।তবে মাথা উদ্ধার করা হয়নি মাথা উদ্ধার ও খুনিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এবং সিসি টিভি ফুটেজ ও কদর মিয়ার পরিবারের লোকজন এটি কদর মিয়ার লাশ বলেও বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

অন্যদিকে এই

এঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে এলাকাসহ পুরো শহরে এক আতংক ও চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়।

পুলিশের ধারণা, তাকে হত্যা করে মাথা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news