খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।
আজ সোমবার (১২ জুন) সর্বশেষ বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।
অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪ ভোট, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৬ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ২১৮ ভোট।
এর আগে, সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়েছে নগরবাসী।
এবার কেসিসি নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী, ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ১৮০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডের দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচনকে ঘিরে খুলনায় বিজিবির ১১ প্লাটুন সদস্য ছাড়াও নির্বাচনি মাঠে আছেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
কেসিসির মেয়র প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান (দেয়াল ঘড়ি)।
এবারের নির্বাচনে কেসিসির মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। ভোটাররা ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি কক্ষে ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
পত্রিকা একাত্তর/ আক্তারুল ইসলাম