বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম তালুকদার এর মৃত্যুবার্ষিকী

উপজেলা প্রতিনিধি, সরিষাবাড়ী

২০ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম তালুকদার এর মৃত্যুবার্ষিকী

জামালপুর জেলা সরিষাবাড়ি উপজেলা বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম আব্দুস সালাম তালুকদারের ২৩তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জনাব ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম সাহেব।

এবং আরো উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন, সাধারণ সম্পাদক, জামালপুর জেলা বিএনপি। প্রথমেই দলীয় নেতা-কর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং তার কবর জিয়ারত করেন। আব্দুস সালাম তালুকদার (৪ নভেম্বর ১৯৩৬ - ২০ আগস্ট ১৯৯৯)

বাংলাদেশের একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি বিএনপির মহাসচিব ও সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অনেক দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি ছিলেন চারদলীয় ঐক্যজোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সফলতার সাথে চারদলীয় লিঁয়াজো কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ব্যারিষ্টার আব্দুস সালাম তালুকদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার ভাষা সৈনিক, লন্ডন-এ পাকিস্তান স্টুডেন্টস ফেডারেশনের নির্বাচিত সভাপতি, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, মহাসচিব, ৪ দলীয় লিঁয়াজো কমিটির চেয়ারম্যান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ছিলেন।

১৯৩৬ সালের ৪ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার মূলবাড়ি ( তালুকদার বাড়ি) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম রিয়াজ উদ্দিন তালুকদারের সন্তান সালাম তালুকদার শিক্ষা জীবন শুরু হয় ১৯৪২ সালে সরিষাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এইচএসসি পাশ করেন ঢাকা কলেজ থেকে।

ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন এবং পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় ৯২(ক) ধারায় কারাবরণ করেন। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ এমএ পাশ করেন। ফজলুল হক হলে থাকতেন এবং হলের এথলেটিক সেক্রেটারী নির্বাচিত হন।

১৯৬৮ সালে লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী অনারেবল সোসাইটি অব লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার এট ল অর্জন করেন। ১৯৭১ সালের শেষ দিকে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন।

১৯৭৬ সালে ডেমোক্রেটিক লীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৮ সালের আগস্ট মাসে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সান্নিধ্যে আসেন। একই বছর ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নিযুক্ত হন।

১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৯ সালের ২০ আগস্ট হার্টের বাইপাস সার্জারি করানোর জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

পত্রিকাএকাত্তর /সিহাব উদ্দিন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news