দশমিনায় একটি মাদ্রাসার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের তদন্তকালে তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে হয়রানী ও মানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এতে অসুস্থ হয়ে পরেছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া নিরাপত্তাকর্মী মাহমুদুল্লা। তাকে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিস কক্ষে এঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চরহোসনাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় চলতি মাসের ১৯ আগষ্ট ৬টি পদের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাফর আহমেদকে আহ্বায়ক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলামকে সদস্য সচিব এবং উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার নেছার উদ্দিনকে সদস্য করে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইউএনও। আজ রোববার তদন্ত কমিটির কাছে নিয়োগপ্রাপ্তরা তদন্তকার্যে শুনানি করতে এলে সদ্য নিয়োগ পাওয়া নিরাপত্তাকর্মী মাহমুদুল্লাহ অসুস্থ হয়ে পরে যান তাকে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে অসুস্থ নিরাপত্তাকর্মী মাহমুদুল্লা বলেন, তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা তাকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ মাওলানা নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, মাদ্রাসায় নিয়োগপ্রাপ্তদের তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী এবং মানুষিক নির্যাতন করছেন। তিনি আরো বলেন, মাহমুদুল্লাহকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষিকভাবে নির্যাতন চালালে সে অসুস্থ হয়ে পরেন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাফর আহমেদ হয়রানী ও নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তদন্তকার্যে তারা সহযোগীতা করার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছেন। গত ১৯ আগষ্ট ওই মাদ্রাসায় উপাধ্যাক্ষ,অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, আয়া,পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও নৈশ্য প্রহরী পদে নিয়োগের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অনিয়মের অভিযোগ করে কয়েকজন ব্যাক্তি লিখিত অভিযোগ করেন ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পত্রিকা একাত্তর /আসাদুল ইসলাম