শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার তোয়ালকুচি গ্রামে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় জুলহাস উদ্দিন হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত উভয়কেই ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করা হয়েছে। এদিকে মামলার অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ১১ ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুস সবুর মিনা আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, নালিতাবাড়ী উপজেলার তোয়ালকুচি গ্রামের নূরুল ইসলাম ওরফে নূরুর ছেলে বাবুল মিয়া(৩৫) ও মৃত মতলেব চোরার ছেলে মনু চোরা(৫৭)।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু মামলার নথির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার তোয়ালকুচি গ্রামে ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে সরকারি রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ শুরু হলে আসামি বাবুল মিয়া ও মনু চোরা গংরা বাধা প্রদান করে। ওই সময় জুলহাস উদ্দিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জুলহাস উদ্দিনকে মারপিট করে জখম করে। আশেপাশের লোকজন জুলহাসকে রক্ষা জন্য এগিয়ে গেলে আসামিরা তাদেরকেও মারপিট করে। গুরুতর অবস্থায় জুলহাসকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এ ঘটনার পর দিন নিহত জুলহাসের ছেলে মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে জামালপুর জেলা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ মঈনুল হোসেন ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট আদালতে চার্জসীট প্রদান করেন।
বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবুল মিয়া ও মনু চোরাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং মামলার অপর ১১ আসামিকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক।
পত্রিকা একাত্তর/ আবু হেলাল
আপনার মতামত লিখুন :