যুবতীর আত্মহত্যাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি

২৮ এপ্রিল, ২০২২, ১ year আগে

যুবতীর আত্মহত্যাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ

বন্দরগরীর ইপিজেড থানাধীন ৩৯নং ওয়ার্ড বন্দরটিলা বাজারের পিছনে শফিক বিল্ডিং এর সাত তালায় তাজনাহার আক্তার নুপুর(১৯) নামে একজন যুবতী নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেশী সূত্রে জানাযায়। সে ২৭এপ্রিল বুধবার অনুমানিক ১টা ৩০মিনিটের সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে যানা গেছে।

নিহত নুপুরের পিতা মোঃ তাজুল ইসলাম, গ্রামের বাড়ী দক্ষিণ রাইছা, থানা চরফ্যাশন- ভোলা, বর্তমানে তারা বন্দরটিলা কাঁচা বাজারের ফিছনে শফিক বিল্ডিংয়ের সাততলা ভবনের একটি ভাড়াবাসায় বসবাস করতেন।

ঐ এলাকার এক প্রতিবেশির মাধ্যমে খবর পেয়ে গণমাধ্যকর্মীরা আত্নহত্যার ব্যাপারে পরিবারের নিকট জানতে চাইলে অচতেন অবস্থায় নুপুর কে নিকটস্থ বন্দরটিলা ফ্যামিলি হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিলে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সেবক ও চিকিৎসকরা জানান।

নিহতের বাবা তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি গনমাধ্যমকর্মীদেরকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং কথা না বলে অন্যত্র চলে যায়। এক পর্যায়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের একটু শরীর স্বাস্থ্য খারাপ ছিল এজন্য তাকে ফ্যামিলি হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, নিয়ে গেলে তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার সময় এক জন আরেকজন কে বলছিল নুপুরের আত্নহত্যা করেছে ।

মেয়ের মৃত্যু জেনেও ফ্যামিলি হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মহিলা ডাক্তার মৃত ভিকটিমকে কিভাবে প্রেসক্রিপশন দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আমার মেয়ে আত্নহত্যা করেনি আমার মেয়ের স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাজুল ইসলাম ও তার পরিবারের স্বজনরা। মৃত ব্যক্তির প্রেসক্রিপশনের ব্যাপারে ফ্যামিলি হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেন।

নুপুর এর মৃত্যুর ব্যাপারে শফিক বিল্ডিং এর ইনচার্জ তসলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন, ভাই আমি জানি না, আমি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গিয়েছি ,এসে দেখি মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে, পরে লাশটি তার বাবা মা ফ্লোরে নামিয়েছে এর পরে তাকে মেডিকেল নিয়ে যায় তার বাবা মা।

তাজনাহার আক্তার নুপুরের মৃত্যুর বিষয়টি ইপিজেড থানায় অবগত করার পরপরেই ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ কবিরুল ইসলাম থানা থেকে এসআই শামীমকে ঘটনাস্থলে পাঠান, পুলিশ আসার পরে মৃত তাজনাহার আক্তার নুপুর এর বাবাকে বলেন, এটা কি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, নুপুরের বাবা বলেন জ্বি স্যার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এসআই শামীম, প্রথমে মেয়েটাকে দেখে বলেন এটা স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, এর পরে, আর ও ভালোভাবে তদন্ত করেন ইপিজেড থানার সেকেন্ড অফিসার নুরুজ্জামান,তিনি বলেন এটা স্বাভাবিক মৃত্যু না বলে জানান।

তিনি বলেন মৃত নারীর লাশটি থানায় পাঠানো হচ্ছে এবং লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য আমরা মর্গে পাঠাব, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই বলতে পারব এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি আত্মহত্যা, বলে জানান ইপিজেড থানার সেকেন্ড অফিসার নুরুজ্জামান, পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ কবিরুল ইসলাম। তবে কি কারণে আত্নহত্যায় মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা যাইনি।

পত্রিকা একাত্তর /ইসমাইল ইমন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news