হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ খেটে-খাওয়া দিনমজুর থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা-কে নিয়ে গঠিত কালুখালীর মাঝবাড়ী ইউনিয়নের (১,২,৩নং ওয়ার্ড যৌথ) মোহনপুর, খামারবাড়ি,দয়রামপুর এই তিনটি গ্রামকে একত্রিত করে কয়েকজন উদার মনের মানুষ আয়োজন করেছিল ছোট্ট পরিষরে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলা যেমন ফুটবল, হাডুডু, লাঠিবাড়ী দৌড় প্রতিযোগিতা সহ ইত্যাদি সব ধরনের খেলা। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো খামারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে।
যে খেলাটা মাত্র ২ বছরেই অনেকটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, এ খেলায় তিন গ্রামের ছোট বড় সব ধরনের মানুষ অংশ গ্রহণ করতেন এমনকি দূর দূরান্ত গ্রাম থেকেও অংশ নিতেন উপভোগ করতেন এই গ্রামীণ খেলা। আজ সেই ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো বিলুপ্তির পথে । এলাকার কিছু মানুষের বক্তব্যে জানা যায় যে রাজনৈতিক বা প্রতিহিংসা, রেশা-রেশীর কবলে বন্ধ রয়েছে বা হয়েছে এই গ্রামীণ খেলা।
খেলাটি শুরু হতো প্রতি বছরে দুই ঈদের পরের দিন খামারবাড়ি সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় মাঠে, বিনোদন হীন, খেটে খাওয়া মানুষগুলো খুজে পেয়েছিলেন একটা দিন সেখানে তারা সারা বছরের দুঃখ কষ্ট কে বিক্রি করে সুখ কিনে নিয়ে হাসি মুখে বাড়িতে ফিরতো পরিবার নিয়ে।
খেলাটির বিষয় সম্পর্কে মোহনপুর বি এ মানবসেবা ফাউন্ডেশন ও ক্রিয়া পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ নাজমুল হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন
শিক্ষিত সমাজ মনে করেন, জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলার বিকল্প নেই। মস্তিস্কের সাথে শরীরের ক্ষমতার সমতা রাখার জন্য খেলাধূলা আবশ্যক। খেলাধূলার মাধ্যমে একজন মানুষ ছোট থেকে হয়ে ওঠে সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তার ভিতরে বেড়ে ওঠে নেতৃত্বগুন, সে শেখে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়। বিশ্বঅঙ্গনে সুনাম বয়ে আনতে হয়! মানুষ মানুষে কোন ভেদাভেদ হিংসা ভুলে গিয়ে কিভাবে ভালোবাসতে হয় ইত্যাদি বিষয়।
হয়তো এই মহৎ উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়ন করা লক্ষেই এই গ্রামিন সহজ সরল মানুষগুলোকে একত্রিত করে আয়োজন করেছিলেন খেলাদূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। খেলাগুলো চালু থাকলে নতুন প্রজন্ম এর মাধ্যমে অনেককিছু জানতো শিক্ষত, বুঝতো এবং পরবর্তি প্রজন্মেকে শেখাতে পারতো।
এই খেলাটি যাদের মাধ্যমে পরিচালনা হতো বা যাদের হাত দিয়ে শুরু হয়েছিলো, আপনাদের সহ তিন গ্রামের গন্য-মান্য ব্যাক্তি ও সকল যুবক নতুন প্রজন্মকে অন্তরের অন্তস্তল থেকে অনুরোধ জানাই সকল দলবল হিংসা বিদ্বেষ মান-অভিমান নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে এই খেলাটি শুরু করার ব্যবস্থা করেন।
সকল প্রকার কার্যক্রম সার্বিক সহোযোগিতায় পাশে থাকবে মোহনপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন।
পত্রিকা একাত্তর /শাকিল আদনান