আশুলিয়া প্রতারক চক্রের মুলহোতাসহ গ্রেফতার ৮

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

২১ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

আশুলিয়া প্রতারক চক্রের মুলহোতাসহ গ্রেফতার ৮

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে নিয়ে বেড শেয়ারিংএর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা আদায় চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪। গ্রেফতারের পর তাদেরকে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব-৪।

রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠায়। এর আগে ভোরে আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচট বুড়িবাজার এলাকায় র‍্যাব-৪ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, আশুলিয়া থানার উত্তর গাজিরচট বুড়িবাজার এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের মেয়ে অঞ্জনা ভূঁইয়া (৪৫)। গাজীপুর জেলার জয়দেব পুর থানার লক্ষীপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাব্বির মিয়া (১৯)। মাদারিপুর জেলার কালকিনি থানার এনায়েতনগর গ্রামের ফোরকান সরদারের মেয়ে মোছাঃ জান্নাত (২২), ও তার বোন মোছা. জামিলা নুসরাত (১৮)।

বাগেরহাট জেলার চিলমারী থানার আরুয়াবনি গ্রামের ইলিয়াছ সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৮)।জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার মৌলভীরচর গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে মতিউর রহমান (২৮)। গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার শ্রীপুর ছাতানাবাড়ী গ্রামের মো. আমিনের ছেলে নাজমুল হুদা (১৫)। চাপাইনবয়াবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার আটরশি বালুটুমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে হাছনারা (২৪)।

এছাড়াও পলাতক রয়েছে, জাহাঙ্গীর, সুচী বেগম, বৃষ্টি, তানিয়া আক্তার, মাসুদ রানা, মেঘলা আক্তার, সাথী বেগম, আকাশ সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোঃ শাহ্ পরান নামের এক চাকুরিজীবীর সাথে হাছনারার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এক পর্যায়ে গত ২০ আগস্ট বিকেলে দেখা করার কথা বলে হাছনারা তাকে বাসায় ডেকে নেয়। বাসায় আসার পর সেখানে আগে থেকেই উৎপেতে থাকা অন্যান্য আসামিরা তাকে মারধর করে তার সাথে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে অভিযুক্তরা তাকে নগ্ন করে ভিডিওধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভুক্তভোগীকে ব্যাপক মারধর করে আসামিরা। পরে কৌশলে সিপিসি-২, র‌্যাব-৪ এর কন্ট্রোল রুমে জানালে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়।পরে শাহ্ পরান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে তাদেরকে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় এবং আদালতে প্রেরণ করা হয়।

র‌্যাবের-৪ এর জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকারোমুক্তি জবানবন্দি দিয়ে জানায় যে, তারা পলাতক আসামিদের সহযোগিতায় বিভিন্ন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব বা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে কৌশলে বাসায় ডেকে নেয়। পরে তাদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও চাপ এমনকি শারীরিক আঘাত করে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে এধরনের অপরাধ করে আসছিল।

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় কিছুদিন আগেও ওই এলাকা থেকে একই ঘটনার দায়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। তারা দীর্ঘদিন ধরে এধরণের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। তারা মাদক থেকে শুরু করে নারী দিয়ে বিভিন্ন ভাবে পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে নিয়ে এসে এধরণের অপকর্ম করে যাচ্ছে । এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা হামলার ভয় দেখায়।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল হক জিয়া বলেন, গ্রেফতারকৃতদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পত্রিকাএকাত্তর /সোহাগ হাওলাদার

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news