আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) আনুমানিক সকাল ৭ ঘটিকার সময় ঠাকুরগাঁও টাঙন নদীর ব্রিজের নিচ থেকে বস্তা বন্দী আবস্থায় জীবিত উদ্ধার করেন এলাকা বাশি। সে বর্তমানে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মাহফুজা খাতুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের ক্বারী মৃত মোস্তফা কামালের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমী মহিলা মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করত।

মাহফুজা খাতুনের বড় বোন বলেন আমার বোন টাঙন নদীর পাশে এক মাদরাসায় পড়াশোনা করে। আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চলে আসি। তিনি বলেন আমার বোনের সুষ্ঠু বিচার চাই। অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।

খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমী মহিলা মাদরাসার মুহতামিম হযরত আলী বলেন, স্বাভাবিক নিয়মের মতো রাত ১১টায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। ফজরের সময় তাকে রুমে দেখতে না পেয়ে সহপাঠীরা তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তার অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। তারপর পাশেই টাঙন নদীর নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় তাকে পাওয়া গেলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, মাহফুজা শহরের একটি মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করে। মেয়েটির সাবেক স্বামী তার দলবল নিয়ে রাত আনুমানিক ২-৩টার দিকে কৌশলে মাদরাসা থেকে বের করে নিয়ে আসে।

পরে নির্যাতন করে তাকে বস্তাবন্দি করে টাঙন নদীতে ফেলে রাখে। সকালে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পত্রিকাএকাত্তর /আব্দুল্লাহ আল সুমন