অরক্ষিত বধ্যভূমি রক্ষায় নির্মাণ হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ

উপজেলা প্রতিনিধি, কুলাউড়া

২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

অরক্ষিত বধ্যভূমি রক্ষায় নির্মাণ হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ

কুলাউড়ার রবিরবাজারে অরক্ষিত বধ্যভূমি রক্ষায় নির্মাণ হচ্ছে ‘মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ’। মুক্তিযোদ্ধের পাঁচ দশক পর উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয়ের চৌমুহনী রবিরবাজার চত্বরের পাশে অবস্থিত গণহত্যার স্মৃতিবিজিড়িত এ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

বৃহস্পতিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্থানীয় রবিরবাজার এলাকায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভাগ (এলজিইডি) এর সিএইচএসএমএমপি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রবিরবাজার এলাকায় জেলা পরিষদের জায়গায় পদ্মদিঘীরপাড় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়নে দায়িত্ব দায়িত্ব পায় মৌলভীবাজারের মেসার্স জেরিন এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয়ের চৌমুহনী চত্বরের পাশে অবস্থিত বধ্যভূমিতে পৃথিমপাশার অক্ষয় দেব ও কৃতিময় দেব নামে দুজন মুক্তিযোদ্ধাসহ আরো নাম না জানা অনেককে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়েছে। পৃথিমপাশার রবিরবাজারের এ বধ্যভূটি জায়গাটি ছিল অরক্ষিত ও অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা পরিষদের মধ্যে এই বধ্যভূমি নিয়ে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ছিলো। এটি সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় সচেতনমহল ও মুক্তিযোদ্ধারা আন্দোলন করেন। প্রায় ৪ বছর আগে তৎকালীন সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন কুলাউড়ার বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দেন।

অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আজিজুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর বধ্যভূমি সংরক্ষণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উপজেলায় প্রথম সরকারি উদ্যোগে প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে।

ভিত্তিপ্রস্থর অনুষ্ঠানের আলোচনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক সাংসদ অ্যাড. নওয়াব আলী আব্বাছ খান, কুলাউড়া পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, জেলা এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন সরদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুশীল চন্দ্র দে, আওয়ামী লীগ নেতা আলী ওয়াজেদ খান বাবু, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিমিউর রহমান চৌধুরী ফুল মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খান হাসনাইন, নবাব আলী সাজ্জাদ খান প্রমুখ।

পত্রিকা একাত্তর /রেজাউল ইসলাম শাফি

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news