১৯৫৩ সালের এই দিনে কুষ্টিয়ার মাটিতে জন্ম হয়েছিলো বাংলা চলচিত্রের অন্যতম সেরা এ খলনায়কের।তার আসল নাম মিজানুর রহমান।ছোটবেলা থেকেই কুষ্টিয়ার স্থানীয় নাট্যদল নূপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পড়াশোনাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক অর্জন করেছিলেন।
১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মিজু আহমেদ। কয়েক বছরের মধ্যে ঢালিউডে খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। অসাধারণ অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ, ১৯৯২ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচিত্রে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা এবং ২০১০ সালে “ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না” মুভিতে শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন মিজু আহমেদ ।বড়পর্দায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০টি ছবি মুক্তি পেয়েছে তাঁর। তার মাঝে উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় রয়েছে তৃষ্ণা, চাকর, ত্যাগ, বশিরা, হাঙর নদী গ্রেনেড,কুলি, লাঠি, কষ্ট, ইতিহাস ও ক্রাইম রোড।তাছাড়াও, মিজু আহমেদ একজন প্রযোজক হিসেবেও ঢালিউড পাড়ায় পরিচিত। তিনি দুই মেয়াদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
সর্বশেষ ২৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে “মানুষ কেন অমানুষ” চলচ্চিত্রের শুটিং করতে দিনাজপুর যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরদিন ২৮ মার্চ বাদ মাগরিব জানাজা শেষে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শাহীত করা হয় মিজু আহমেদকে।নিভে যায় বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তিনি চলে গেছেন,কিন্তু তার কাজের মাঝে আজও বেঁচে আছেন লক্ষ, কোটি ভক্তদের হৃদয়ে। এভাবে শত শত বছর তিনি বেছে থাকবেন বিভিন্ন প্রজন্মের চলচিত্র প্রেমীদের মাঝে।অভিনয়ে খল চরিত্রে জনপ্রিয় হলেও বাস্তব জীবনে তিনি ছিলেন নম্র,ভদ্র এবং অনেক ভালো মনের একজন মানুষ।
পত্রিকা একাত্তর/ আনোয়ার হোসেন