সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা একজন জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেত্রী। বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক এবং চলচ্চিত্র জগতের চেনা মুখ। আজ তার ৩২তম জন্মদিন ৪ নভেম্বর ১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। সায়ন্তনীর জন্ম ও বড়ো হওয়া কলকাতা শহরে। তিনি দুর্ভাগ্যবশত খুব অল্প বয়সেই (পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াকালীন) তার পিতাকে হারান।সায়ন্তনী তিন বছর বয়স থেকে নাচের সঙ্গে যুক্ত।
তিনি থাঙ্কমণি কুট্টি ঘরানার শাস্ত্রীয় নাচে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং পরে নিজের আদ্রিকা নামে একটি নৃত্য দল তৈরি করেন। ভেবেও ছিলেন যে তিনি পেশায় একজন নৃত্যশিল্পী হবেন। মূলত নাচের জন্য নাচের সায়ন্তনীকে বিভিন্ন শো করতে বহু জায়গায় ভ্রমণ করতে হতো। এই শো-গুলির মধ্যে একটিতে তিনি নজরে আসেন ও তাকে একটি ফ্যাশন শো-তে অংশ নিতে হয়েছিল। এরপর বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড অ্যাড, বুটিক্স এবং সোনা-গয়নার বিজ্ঞাপন টেলিভিশন বিজ্ঞাপন তিনি করেন। এরই মধ্যে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে রানার আপ হন তিনি।
তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকের পর পোশাক নকশাকরণের উপর কোর্স সম্পন্ন করেন। তার মা তাকে ডাব্লুসিবিএস পরীক্ষা দেওয়াতে চেয়েছিলেন। তখন তিনি বিজ্ঞাপনের অফার পেয়েছিলেন। যা তিনি করতে চেয়েছিলেন। তার মা তাকে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মাত্র এক বছর সময় দিয়েছিলেন। তিনি তার মানস বসুর সিনেমা, টলিউড ফোকাসে স্বস্তিকা মুখার্জী এবং অমিতাভ ভট্টাচার্যের সাথে অভিনয় করেন। এটি তার প্রথম সিনেমা। সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার কেরিয়ার গ্রাফ যদিও একইভাবে থাকেনি। সিরিয়ালের শুটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর একটি দুর্ঘটনা ঘটে।
সেই জন্য প্রায় দেড় বছর তিনি এইসব কিছু থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। তারপর আবার সুস্থ হয়ে তিনি ফ্লোরে ফিরে আসেন। তবে সেই সময়টা তিনি ভিজে হিসেবে কাজ করেছেন। মডেলিং থেকে সিরিয়ালে আসা। ‘হিরো’ তাঁর প্রথম অভিনীত ধারবাহিক। তিনি জনপ্রিয় পারিবারিক নাটক ‘জয়ী’ একটি ছোট চরিত্র করেছেন, যাতে অভিনেতা দেবজ্যোতি দত্ত এবং দেবাদ্রিতা বসুও রয়েছে। তাকে এতে জয়ীর মা (সুধা) হিসাবে দেখা যায়।
টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়াল‘ জয় কালী কলকাত্তায়ালী’, ‘কিরণমালা’ এবং ‘সাত ভাই চম্পা’ তে ও তিনি অভিনয় করেছেন।তিনি অভিনয় করেছেন বাংলা সিনেমা চারদিকের গল্প,জলে জঙ্গলে,তদন্ত,মহাকাশ কাণ্ড, আমি সায়রাবানু, উমা (চলচ্চিত্র), হইচই আনলিমিটেড, গেম প্ল্যান,সমান্তরাল (চলচ্চিত্র)কিন্তু গল্প নয়,বৃষ্টি তোমাকে দিলাম কে তুমি নন্দিনী,এক যে ছিল রাজা প্রভৃতিতে ।তার প্রথম তেলুগু ছবি চিকাটি গাদিলো চিতাকটডু।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ