বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে সফল খলনায়ক আহমেদ শরীফের জন্মদিন আজ। ৮০ বছর বয়সী এই অভিনেতা প্রায় আট শতাধিক বাংলাদেশি চলচিত্রে অভিনয় করেছেন। খলনায়ক হিসেবে সফল হলেও, পর্দায় ভিন্ন চরিত্রেও তার বিচরণ দেখা গেছে।
আহমেদ শরীফ বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নাম। তার অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’। সুভাষ দত্ত পরিচালিত এ ছবিতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন আহমেদ শরীফ। তবে খলনায়ক হিসেবে ১৯৭৬ সালে তিনি প্রথম অভিনয় করেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর পরিচালনায় ‘বন্দুক’ ছবিতে।
এ ছবিটি সুপারডুপার হিট হয়।চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি আহমেদ শরীফ টেলিভিশনের জন্য কিছু নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন। ২০০১ সালে প্রথম নির্মাণ করেন টেলিফিল্ম ‘ক্ষণিক বসন্ত’। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য তিনি নির্মাণ করেন নাটক ‘ফুল ফুটে ফুল ঝরে’। দীর্ঘ আট বছর পর নাদের খানের প্রযোজনা ও রচনায় হাস্যরসাত্মক গল্পের এ নাটকের নাম ‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই’। পারিবারিক জীবনে তার একটি মেয়ে আছে। আহমেদ শরীফ বর্তমানে উত্তরার চার নম্বর সেক্টরে থাকেন।
তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্য রয়েছে অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী , দেনমোহর (১৯৯৬), তিন কন্যা (১৯৮৫),বন্দুক প্রভৃতি। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি প্রতিষ্ঠার সময়ে প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আহমেদ শরীফ, এরপর তিনি আরও দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক এর এবং চার মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে আহমেদ শরীফ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) এর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করার লক্ষ্যে তিনি তার এলাকা কুষ্টিয়ায় কাজও শুরু করেন। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বিএনপি দলের সাথে জড়িত। তিনি জাসাস সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ