হিরো আলম গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই ভাস্কর্যের সঙ্গে তোলা একটি সেলফি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরী হলো আমার ভাস্কর্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী উত্তম কুমারকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। উত্তম কুমার বিশ্ববিদ্যালয়ে হিরো আলমে একটি ভাস্কর্য বানিয়েছেন। সে ভাস্কর্য নিয়ে উত্তম কুমারের সঙ্গে কথা বলতে চান হিরো আলম। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন সেটি নিজের করে নেওয়ার জন্যেও।
মূলত এ ভাস্কর্যটি ২০১৮ সালে স্টাডি ওয়ার্ক হিসেবে হিরো আলমের ক্যারেক্টার নিয়ে তৈরি করেছেন উত্তম কুমার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ভাস্কর্য বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। উত্তম কুমার জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ভবনে থাকেন। হিরো আলমের ভাস্কর্যটি এখন সেখানেই রাখা আছে।
ঘটনাটি কয়েক বছরের পুরনো হলেও গতকাল মঙ্গলবার হিরো আলম এ ভাস্কর্যের ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করার পর এটি নিয়ে নতুন করে চার্চা শুরু হয়েছে। ঢাবি শিক্ষার্থীর বানানো এ ভাস্কর্যটি এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সেই ভাস্কর্যটি হিরো আলম নিতে চান।
হিরো আলম বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীর ভাস্কর্যটি আমি নিতে চাই। যিনি বানিয়েছেন তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। সে যদি আমাকে উপহার হিসেবে দিতে চায়, তা হলে উপহার হিসেবে নেব । আর যদি টাকার মাধ্যমে দিতে চায়, তা হলে সেভাবেও নেব।
এই ভাস্কর্য কোথায় রাখা হবে এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ভাস্কর্যটি ওই শিক্ষার্থী হস্তান্তর করলে পরে সিদ্ধান্ত নেব কোথায় রাখব।
হিরো আলমের ভাস্কর্য তৈরিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান উত্তম কুমার। তিনি বলেন, হিরো আলমের আবক্ষ ভাস্কর্যটা তৈরি করার পর ২০১৮ সালেই আমি ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করার পর এটা নিয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়। পরে কিছু লোকজন নিয়ে হিরো আলম জগন্নাথ হলে এসে ভাস্কর্যটা দেখে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এ ভাস্কর্যটার কাজ শেষ করে আমি আমার কাছেই রেখে দিই। হিরো আলমকে এটা দেওয়া হয়ে ওঠেনি। জগন্নাথ হলের দক্ষিণ ভবনে আমার কক্ষেই ভাস্কর্যটা রাখা আছে। ২০১৮ সালের পর হিরো আলমের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। হিরো আলম চাইলে ভাস্কর্যটা হস্তান্তর করব।
পত্রিকা একাত্তর/ মাসুদ পারভেজ