ড্রিউ ব্যারিমোর একজন মার্কিন অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক। আজ এই অভিনেত্রী জন্মদিন ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ব্যারিমোর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ আমেরিকান অভিনেত্রী। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় যখন তার বয়স মাত্র এগারো মাস। ব্যারিমোরের পর্দায় অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে, অলটার্ড স্টেটস-এর মাধ্যমে। ১৯৮০ সালে অলর্টাড স্টেটস-এ অভিষেকের পথ ধরে তিনি আবির্ভূত হন তার সাড়াজাগানো চরিত্র ই.টি. দ্য এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল-তে। এর মাধ্যমে অল্প সময়েই তিনি হলিউডে সবচেয়ে পরিচিত শিশু অভিনেত্রী রুপে আবির্ভূত হন, এবং নিজেকে প্রধানত বিভিন্ন কমিক চরিত্রে রূপদানকারী অভিনেত্রী রুপে প্রতিষ্ঠিত করতে থাকেন।
ব্যারিমোর ১৯৯০ সালে নিজের আত্মজীবনী লেখেন, যার নাম ছিলো লিটল গার্ল লস্ট। ব্যবসায়িকভাবে অসফল কিছু চলচ্চিত্র, যেমন: পয়জন আইভি, ব্যাড গার্লস, বয়েজ অন দ্য সাইড, এবং এভরিওয়ান সেজ আই লাভ ইউ-এ অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যারিমোর সফলভাবে তার শিশু তারকা ইমেজ থেকে বেরিয়ে প্রাপ্তবয়ষ্ক তারকার ইমেজ প্রাপ্ত হন। সেই সাথে তিনি দ্য ওয়েডিং সিঙ্গার এবং এরিক বানার বিপরীতে নাট্য চলচ্চিত্র লাকি ইউ-এর মতো রোমান্টিক কমেডিধর্মী চলচ্চিত্রেও অভিনয়শৈলী দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
১৯৯৫ সালে, তিনি ও তার সঙ্গী ন্যান্সি জুভোনেন ফ্লাওয়ার ফিল্মস নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের গোঁড়াপত্তন করেন, যার সর্বপ্রথম প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি ছিলো ব্যারিমুরের নেভার বিন কিস্ড। এরপর ফ্লওয়ার ফিল্মস প্রযোজনা চালিয়ে যেতে থাকে ব্যারিমুরের চলচ্চিত্র চার্লিস অ্যাঞ্জেলস, ফিফটি ফার্স্ট ডেটস্, এবং মিউজিক অ্যান্ড লিরিক্স, এবং সেই সাথে কাল্ট চলচ্চিত্র ডানি ডার্কো-এর মাধ্যমে। ব্যারিমুরের সাম্প্রতিক প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র হি ইজ জাস্ট নট দ্যাট ইনটু ইউ, বেভারলি হিলস চিহুয়াহুয়া, এবং এভরিবডি’স ফাইন। হলিউড ওয়াক অফ ফেম-এ তারকা হিসেবে তার নাম আছে। ২০০৭ সালে পিপল ম্যাগাজিনের সবচেয়ে সুন্দর ১০০ ইশ্যুর প্রচ্ছদে ব্যারিমুরের ছবি ছাপা হয়।
ব্যারিমোর জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে ক্ষুধাবিরোধী অ্যাম্বাসেডরপেয়েছিলেন; এবং এরপর থেকে তিনি এই কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত এক মিলিয়ন ডলার বা সাত কোটি টাকারও বেশি অর্থ অনুদান দিয়েছেন। ২০০৭ সালে তিনি গুচির নতুন গহনাদ্রব্যাদির প্রসাধনী ও মুখের জন্য নতুন প্রচ্ছদনায়িকা ও মুখপাত্র হিসেবে মনোনীত হন।
২০১০ সালে তিনি গ্রে গার্ডেনস্-এ এডির শৈশবের চরিত্রে রূপদানের জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং মিনি ধারাবাহিক বা টেলিছবিতে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন।
পত্রিকা একাত্তর/ মাসুদ পারভেজ