বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের পালিত কন্যা নিহার বালা (৯৫) সমাহিত হলেন সুলতান কমপ্লেক্সের পাশে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯টায় তাকে সমাধি দেওয়া হয়।
এর আগে শিল্পী এস এম সুলতান কমপ্লেক্সে জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, এস এম সুলতান কমপ্লেক্স, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পীর প্রয়ত কন্যার প্রতি
শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। শেষ কৃত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবিউল ইসলাম, নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা, জেলা প্রশাসকের পক্ষে এনডিসি মোঃ আছিফ উদ্দীন মিয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, এস এম সুলতান বেঙ্গল আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ অনাদি বৈরাগী, জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিটু, মূর্ছনা সংগীত নিকেতনের সভাপতি শামীমূল ইসলাম টুলু,শিল্পকলা একাডেমীর কর্মকর্তা শেখ হানিফ প্রমুখ।
এদিন দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু ঘটে। তিনি দীর্ঘ ৯ বছর অন্ধত্বসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভূগছিলেন। বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে তিনি ও তার পরিবার ১৯৭৫ সাল থেকে অসুস্থ শিল্পীর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সেবাযতেœ আগলে রেখেছিলেন। নিহার সুলতানের বাউন্ডুলে জীবনকে নিয়ন্ত্রন করে ছবি আঁকার উৎসাহ যুগিয়েছেন। পারিবারিক সমস্ত কাজ, শিল্পীর চিড়িয়াখানার পশু পাখিদের সেবাযত্ন, শিল্পীর অসুস্থতা এবং দৈনন্দিন জীবন-যাপনে একমাত্র সেবাময়ী হয়ে নিরলসভাবে কাজ করে
গেছেন।
সুলতান কমপ্লেক্সের পশ্চিম পাশে একটি জায়গায় সরকার থেকে দেওয়া একটি টিনসেড ঘরে নাতি ছেলেসহ পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। সেই বাড়ির পাশের একটি জায়গায় নিহার বালাকে সমাহিত করা হয়েছে।
নীহার বালার শেষ ইচ্ছা ছিল, তিনি যে বাড়িতে বসবাস করতেন সেটি যেন তার নামে লিখে দেওয়া হয়’। প্রসঙ্গত নিহার বালার স্বামী হরিপদ সাহা, ভাই চিত্রশিল্পী দুলাল সাহা, দু’কন্যা বাসনা সাহা ও পদ্ম সাহা দু’জনই মারা গিয়েছেন। এখন তার দু’জন নাতি ছেলে-মেয়ে ও তাদের পরবর্তী বংশধর বেঁচে রয়েছেন।
পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু