নরসিংদীর পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল আলম শিক্ষার্থীদের জড়তা কাটাতে উপজেলার সকল প্রাইমারী ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে ল্যাংগুয়েজ ক্লাব গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি করোনায় ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কি ভাবে আবার লেখাপড়ায় মনোযোগী করে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে হয় এ জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। যা আগে কখনো এ ধরনের উদ্যোগ কেউ গ্রহন করেনি।
শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে মান সম্মত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে কি ভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় এ লক্ষ্যে তিনি প্রতিদিন শৈত্যপ্রবাহকে উপেক্ষা করে সকালে ছুটে চলেছেন উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শনে। স্কুলে প্রতিদিন নিয়মিত জাতীয় পতাকা উওোলন, শুদ্ধ ভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও শরীর চর্চাসহ ক্লাসে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কি ভাবে পাঠদান করছেন তা তদারকি করছেন। এতে করে শিক্ষার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল আলম মানসম্মত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময় সভা করছেন। নির্বাহী অফিসারের শিক্ষার ক্ষেত্রে গুনগত এ পরিবর্তন সাধন ইতিমধ্যে সব মহলের নজর কেড়েছেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার দিলরুবা ইয়াছমিন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়। তার নিয়মিত পরিদর্শন,পরামর্শ এবং নির্দেশনা প্রাথমিক শিক্ষাকে আরো গতিশীল করবে বলে প্রত্যাশা করছি।
পলাশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিলন কৃষ্ণ হালদার বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল আলম সরকারের “ভিশন ২০৪১” এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্ট প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে প্রতিদিন কোন না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটে যাচ্ছেন। সকালে প্রতিষ্ঠানের শুরুতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের এসেম্বলী পরিদর্শন করেন এবং শপথ বাক্য পাঠ করান ,সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের প্রেরনা মূলক শুভেচ্ছা উপহার এবং উপদেশ দেন। কোন প্রতিষ্ঠানে বিরতির সময় গিয়ে শিক্ষার্থীদের আলাদা করে মোটিভেশনাল পাওয়ার পায়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাদের ভিতরকার শক্তিকে জাগ্রত করার কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার মান উন্নয়নে আছে তার বিভিন্ন পরিকল্পনা । তার এই কার্য ধারা অব্যাহত থাকলে পলাশ উপজেলার শিক্ষার গুনগত মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।
এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল আলম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুণগত শিক্ষা হবে অন্যতম নিয়ামক। সেজন্য আমরা শিক্ষায় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ছাত্রছাত্রীদের উজ্জীবিত করতে ‘শহড়ি ুড়ঁৎ ঢ়ড়ঃবহঃরধষ’ শীর্ষক অধিবেশন চালু করেছি। এ অধিবেশনে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করা হয়। এতে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি ইউএনও এর সাথে তাদের মতামত শেয়ার করতে পারছে।
এছাড়াও প্রতিটি বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি কার্যক্রম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে বই পড়ার প্রতি। আমরা ইতোমধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কার্যক্রম চালু করেছি। যে ছাত্র-ছাত্রীটি সবসময় পেছনের বেে বসে সেও যেন সামনের বেে বসতে পারে আমরা এমন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা প্রতিটি বিদ্যালয়ে ক্রিড়া সামগ্রী প্রদান করছি। আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
পত্রিকা একাত্তর/ সিয়াম সরকার