সুনামগঞ্জের পলাশ ইউনিয়নের হাওরাঞ্চল প্যারীনগরের ঝুটন সম্রাট যিশু করোণার মহামারীতে সাধারণ ছেলে-মেয়েরা যেখানে ভিডিও গেম এর প্রতি আসক্ত সেই সময় দেশের চাষিদের কথা চিন্তা করে তৈরি করেছে বিমান।
প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মেধাবী উদ্দোক্তা তরুণ। তার মা ইলা রাণী দাস(৪০) গৃহিণী, বাবা গোপেন্দ্র চন্দ্র দাস(৫৫) খেটে-খাওয়া দিনমজুর, তিন ভাইবোনের মধ্যে ঝুটন দ্বিতীয় ছোটবেলা থেকে নতুন কিছু আবিষ্কার করার প্রচেষ্টা।
ফেসবুক, গুগল এর সহায়তায় প্রায় ২৫- ৩০ দিনের চেষ্টায় তৈরি করেছে বিমান। স্কুলে যাতায়াতের খরচ বাচিয়ে কিনেন নানান ধরণের সরঞ্জাম, তৈরি করেছে স্পিড বোর্ড, কখনো ড্রোন এখন ব্যতিক্রমী চিন্তায় তৈরি করতে সক্ষম বিমান। সফলভাবে আকাশে ৩০- ৪০ মিনিট উড়াতে ও মাটিতে ল্যান্ড করতে পারছে। তরুণটির প্রবল ইচ্ছে বিমানটির মাধ্যমে জমিতে কীটনাশক ও সার প্রয়োগ করতে পারবে সহজে। যার ফলে কষ্ট কমবে কৃষকদের। দেশের সাধারণ কৃষকদের কৃষি কাজ সহজের জন্য করতে চাচ্ছে নতুন কিছু।নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে পরিবারের পক্ষে খরচ বহন করতে সম্ভব না, সরকারী সহায়তা পেলে বাস্তবায়িত হবে তার স্বপ্ন।
বিশ্বম্ভরপুর, দিরেন্দ্রবর্মন সরকারী ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মো. মশিউর রহমান(৫০) তিনি বলেন, ঝুটন এই কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছেলেটার এমন আবিষ্কার সত্যি প্রশংসার যোগ্য তবে পারিবারিক ভাবে সে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সরকারি সহায়তা পেলে বাস্তবায়িত হবে।
ঝলক রেজা অপি তার বড় ভাই তিনি বলেন, প্রথমে আমরা তাকে সাপোর্ট করিনি তবে তার ব্যতিক্রম ধর্মী প্রচেষ্টার কারণে অনেকটাই সফলতা দেখে তার পর সাপোর্ট করি। কারণ আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবার বাবার রোজগারের মধ্যে চলে সেক্ষেত্রে কেউ চাইনি অযথা টাকা খরচ হোক।
বন্ধ পিপাসা দাস(১৮) তিনি বলেন, সবসময় আবিষ্কার করার চুন্তা করে ঝুটন বিমান, গাড়ি ও স্পিড বোর্ড নিজ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আবিষ্কার করেছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রশাসক মো. সাজিউর রহিম জাদিদ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ ও তাদের পাশে দাড়ান, আমরা তাকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট করব। তার আবিষ্কার বিমান তৈরিটা যেন জাতীয় পর্যায়ে পৌছাতে পারে সার্বিক সহায়তা করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ শাহীন মিয়া