চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
গত ১৭ নভেম্বর(বৃহস্পতিবার) নিজ বাড়ির উঠানে নিজ স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন স্বামী মোস্তাক আহমেদ(পিতা: মৃত ওমর মিয়া, গ্রাম: ছাদেকপাড়া, ইউনিয়ন: সাতবাড়িয়া) শারীরিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর নাম ডেজি আক্তার। তার গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নে।
গৃহবধূ ডেজি আক্তারকে কুপিয়ে পায়ের হাড় ভেঙে জখম এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যপুরী আঘাত করে পাষন্ড স্বামী। অর্ধ-মৃত্যু অবস্থায় স্বামীর বাড়ির উঠানে ফেলে রেখে পরকীয়ায় আসক্ত ও যৌতুক লোভী স্বামী মোস্তাক পালিয়ে যাায়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণ ডেজী আক্তারকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্যাতনের শিকার ডেজি আক্তারের ভাই বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দীন হিরো জানান, আমার বড় বোন ডেজী আক্তার, দুই সন্তানের জননী বিয়ে হয় সামাজিক ভাবে চন্দনাইশ সাতবাড়িয়া ছাদেক পাড়া নিবাসী মোস্তাকের সাথে।বিয়ের দেড় বছরের মাথায় ব্যবসার কথা বললে পাষণ্ড স্বামী কে ২ লক্ষ টাকা দেন আমার পরিবার।
পাষণ্ড মোস্তাক আগের বউকে তালাক দিয়েছে এমন শর্তে তাকে আমরা আমার বোনকে বিয়ে দিয়েছিলাম কিন্তুু,পরবর্তীতে আমার বোন জানতে পারেন আগের বউকে তিনি তালাক দেননি, উল্টো এই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময়ে আমার বোনের উপর নির্যাতন চালাত লম্পট স্বামী।
আগের বউকে তালাক দিতে চাপ প্রয়োগ করায় জনসম্মুখে আমার বোনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে আঘাত করে। আঘাতের এক পর্যায়ে আমার বোন অজ্ঞান হয়ে গেলে সে পালিয়ে যায়।বর্তমানে আমার বোন মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর মাথায় তীব্র আঘাত পেয়েছেন এবং তার পায়ের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে।আমি অবিলম্বে আমার বোন হত্যা চেষ্টার সুষ্ঠু বিচার চাই।
উল্লেখ্য, ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ে দৈনিক দেশবাংলা প্রতিনিধি অভিযুক্ত মোস্তাক আহমেদকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভিকটিম ডেজী আক্তারের ছোট ভাই শাহাবুদ্দিন হিরো।
পত্রিকা একাত্তর/ ইসমাইল ইমন