বানিয়াচংয়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে টাকা চুরির সন্দেহে হত্যা


উপজেলা প্রতিনিধি, বানিয়াচং প্রকাশের সময় : ১৯/১১/২০২২, ১১:১০ অপরাহ্ণ / ৬১
বানিয়াচংয়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে টাকা চুরির সন্দেহে হত্যা

হবিগঞ্জর বানিয়াচংয় মাদ্রাসা ছাত্রের ক্লু‘লেস হত্যাকান্ডর রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। গোপন চাবি‘ই কাল হলো মাদ্রাসার এতিম শিশু আকরাম খানের।টাকা চুরির সন্দেহে একই মাদ্রাসার তিন ছাত্র মিলে আকরাম খানের হাত-পা বেধে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে পুকুরে।

গত ১৬ নভেম্বর বানিয়াচং উপজেলার ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়নের মক্রমপুর গ্রামের শামায়ূন কবীর হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার পুকুর থেকে ওই মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের ছাত্র আকরাম খান (১১) এর হাত-পা বাধা লাশ উদ্ধার করে বানিয়াচং থানা পুলিশ।

ওইদিনই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে আটক করে জিঞ্জাসাবাদ করে কোন ক্লু না পেয়ে তিন ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। একপর্যায়ে মাদ্রাসার ছাত্র ফখরুল(১৬),মোঃ ফয়েজ উদ্দিন(১৩),মোঃ জাহেদ মিয়া(১৫) কে জিঞ্জাসাবাদ করে হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়।

বানিয়াচং থানা সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসা বোর্ডিংয়ের ছাত্রদের ট্রাংক থেকে প্রায়ই টাকা চুরির ঘটনা ঘটতো।অন্যান্য ছাত্ররা জানতে পারে নিহত ছাত্র আকরাম খানেরব নিকট একটি গোপন চাবি রয়েছে যা অধিকাংশ ট্রাংকের তালা খোলা যায়। ফখরুলর ট্রাংক থেকে দুইদিন টাকা চুরি হওয়ার কারণে সে আকরাম খান কে সন্দেহ করতে থাকে। পরবর্তীতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ফখরুল ১৬ নভম্বর সকাল ১০টায় ফয়েজ ও জাহেদ মিয়াকে নিয়ে নিহতর গতিবিধি লক্ষ্য কর পুকুর পাড়ের নির্জন স্থানে পাকড়াও করে ধরে ফেলে। ফখরুলের ট্রাংকের টাকা চুরি করছে কিনা আকরাম খানক জিঞ্জাসা করতে করতে রশি দিয়ে বেধে ফেলে। রশি দিয়ে বাধার পরও চুরির কথা স্বীকার না করায় ইট দিয় মাথায় ও বুকে আঘাত করে গুরুতর জহম করে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়ায় পানিতে ফেলে চুবাতে থাকে এক পর্যায় আকরাম খান নিস্তেজ হয়ে পড়লে পুকুরে ডুবানো নৌকায় লাশ ফেলে চলে আসে।

থানা পুলিশ আরও জানায়,নিহত মাদ্রাসা ছাত্র আকরাম খানকে হত্যার সাথে জড়িতরা মক্রমপুর গ্রামের মস্তু মিয়ার পুত্র ফখরুল মিয়া(১৬), জুলহাস মিয়ার পুত্র মাঃ ফয়েজ উদ্দিন(১৩) ও মহিবুর রহমানের পুত্র জাহেদ মিয়া(১৫)। তারা সকলেই একই মাদ্রাসার ছাত্র।

নিহত আকরাম খান ও মক্রমপুর গ্রামেরই বাসিন্দা। চার বছর পূর্বে তার বাবা দৌলত খান মারা যান।আকরাম খানের একমাত্র ভাই হৃদয় খান(১৩)ও একই মাদ্রাসার ছাত্র। তার মা জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব ছিলেন। পুত্রের মুত্যুতে তিনি দেশে চলে আসছেন। নিহতের মা ফুলতারা খাতুন বাদী হয় ১৮ ননভেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

১৯ নভেম্বর হত্যার সাথে জড়িতদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)অজয় চদ্র দেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, থানা পুলিশ হত্যারহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়ছ। একই মাদ্রাসার তিন ছাত্র সন্দেহবশত আকরাম খানকে হত্যা করেছে ক্ষোভ ও সন্দেহ থেকে।

পত্রিকা একাত্তর/ আকিকুর রহমান রুমন