শীত পুরোদমে না পড়ার আগেই পিঠা বিক্রির ধুম


উপজেলা প্রতিনিধি, মনিরামপুর প্রকাশের সময় : ১০/১১/২০২২, ১১:০৩ অপরাহ্ণ / ৫৮
শীত পুরোদমে না পড়ার আগেই পিঠা বিক্রির ধুম

মনিরামপুরে শীত পুরোদমে না পড়ার আগেই শহরের সহ শহরের আশে পাশে বিভিন্ন জায়গায় পিঠার বিক্রির ধুম পড়েছে। দিন দিন বাড়ছে ক্রেতাদের সংখ্যাও। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষই যেন পিঠা খেতে আসতে দেখা যাচ্ছে এই পিঠার দোকান গুলোতে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ভীড় বেশি হয় এসব দোকান গুলোতে।

এদিকে শহরের মনিরামপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মনোহরপুর কাচারিবাড়ী,কালিবাড়ী, গোপালপুর, নেহালপুর কলেজ এলাকা,কুমারঘাটা, খাটুয়াডাঙ্গা, কপালিয়া,এলাকায় এসব পিঠার দোকানগুলো রয়েছে। প্রতিটি দোকানেই ভিড় দেখা যায় প্রতিদিন।

ক্রেতারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সেই পিঠা কিনছেন। কেউ বা নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য। কেউ আবার দাঁড়িয়েই খাচ্ছেন। মনিরামপুর মনোহরপুর এলাকায় এক পিঠার দোকানদার মোঃ জামির আলীর। ৪০ বছর বয়সী এই পিঠার দোকানদার বলেন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন প্রতিদিন।

শীত বাড়লে আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। তবে আগের বছরের তুলনায় এ বছর পিঠা তৈরীর দ্রব্য বেশি দামে কিনে সীমিত মূল্যে বিক্রি করায় লাভ কম হচ্ছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী। মনিরামপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তিনি বিগত ২/৩ বছর ধরে এই ব্যাবসা করেন পিঠার দোকানদার মোঃ জামীর আলী পত্রিকা ৭১ কে জানান, এখনও পুরোদমে শীত পড়েনি তারপরেও বিকাল ৪ টা থেকে দোকান দিয়ে ১১/১২ পর্যন্ত বিক্রি করে সংসার বেশ ভালই যাচ্ছে। মানুষের জনপ্রিয়তাও খুব বাড়ছে।

এজন্য তিনি আশে পাশে এলাকায় কর্মচারী ও রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, সপ্তাহে এক এক বস্তা চাউলের আটা ১০ কেজি মত আখের গুড় লাগে। এসব জিনিসের দাম বাড়ার কারণে লাভ কম। তবে বেশি বিক্রি হওয়ায় সন্তুষ্ট। মনিরামপুরের কপালিয়া বাজারের পিঠা ব্যবসায়ী মোঃলিটন জানান, শীত মৌসুমী সংসারের পাশাপাশি এমন পিঠার দোকান করে থাকি।

এতে সংসারের বাড়তি আয় হয়৷ পুরোদমে শীত পড়লে প্রতিদিন ৬-৭ হাজার টাকার মত বিক্রি হয়। পিঠা খেতে এসে পিঠাপ্রেমী শাহরিয়া পারভেজ স্বাধীন জানান শীতের সময় গরম গরম পিঠা খেতে খুব মজা লাগে, মাঝে মধ্যেই সময় পেলে বন্ধুদের নিয়ে খেতে আসি। মোঃ মাহাবুর রহমান জানান, এসব পিঠা বাসায় বানানো খুব কষ্ট।

এখানে পরিবারের সবাই এক সাথে এসে গরম গরম তৈরি করে প্লেটে করে দিচ্ছে তাই সময় পেলেই চলে আসি খেতে। স্বল্প দামে এখানে খুব মজার মজার পিঠা পাওয়া যায় এজন্য এখানে খেতে আসি। ১০ বছর বয়সী শিশু আসিফ বলেন,পিঠার দোকান দেখে পিঠা খেতে এসেছি। এখানে এসে গরম গরম পিঠা খেতে বেশ মজা লাগে।

পত্রিকা একাত্তর / মোজাফফার