খুলনায় চাকরির নামে প্রতারণা : হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান, খুলনা

১৭ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

খুলনায় চাকরির নামে প্রতারণা : হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ

খুলনায় চাকরির নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে প্রতারক চক্র। কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই দালাল চক্রের মাধ্যমে নারীদের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পার্টটাইম চাকরি করে পড়ালেখা ও নিজের খরচ বহনের আশায় প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অধিকাংশ নারী ও কলেজের ছাত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি খুলনায় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল, ক্লিনিকে চাকরি দেওয়ার নামে এসব প্রতারক চক্র কাজ করছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানে রিসেপশনিস্ট, সিকিউরিটি গার্ড, অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তাসহ নানা পদে জনবল নিয়োগের কথা বলে চাকরি প্রার্থী নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। গত আগস্ট মাসে নগরীর সাতরাস্তা মোড়ের গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকে বিভিন্ন পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানতও নেওয়া হয়েছে। তবে কাক্সিক্ষত সেই চাকরির দেখা মেলেনি এসব নারীদের। বরং জামানতের নামে নেওয়া টাকা ফেরতের জন্য অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানের দিকে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের জন্য জনবল নিয়োগের কথা বলে প্রতারণা করা হচ্ছে, ওইসব প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কিছুই জানে না।

অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা যায়, নগরীর গল্লামারী বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকায় ‘ইহান সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রাইভেট লি.’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এলাকাবাসী গত ১ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি ওই এলাকায় দেখছেন। ‘বেকারত্ব মোচনই আমাদের লক্ষ্য’ স্লোগানও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি বোর্ডে।

গত ১৭ আগস্ট ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত মো. ইলিয়াস বেশ কয়েকজন নারীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ইহান সিকিউরিটি সার্ভিসেসের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামালের কাছে নিয়ে যান। তাদের বেসরকারি হাসপাতালের রিসেপশনিস্ট পদে চাকরির কথা বলে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত নেন। এরপর তাদের নানাভাবে ঘুরিয়েও চাকরি দিতে পারেননি। জামানতের টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানাভাবে হয়রানি করা হয় তাদের। এসব অসহায় নারী তাদের টাকা ফেরত ও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

প্রতারণার শিকার খুলনার একটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বলেন, ‘জামানত হিসেবে টাকা নিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইয়াছিন ও এমডি মোস্তফা কামাল। এক পর্যায়ে ইয়াছিন নানাভাবে কুপ্রস্তাবও দিতে থাকে। এসব প্রতারণা বুঝতে পেরে টাকা ফেরত চাইতে গেলেও নানাভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছি।’

এ বিষয়ে ইহান সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রাইভেট লি. এর নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের মারফত নগরীর গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকে জনবল সাপ্লাইয়ের কথা ছিল। ইয়াছিন আমার প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্রে কোনো স্টাফ না। তবে মৌখিকভাবে সে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে আসে। চারজন কলেজছাত্রীর কাছ থেকে জামানত হিসেবে নেওয়া টাকার মধ্যে সব টাকা নেয়নি।’

তবে অভিযোগকারীদের টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন বলেও তিনি জানান। প্রতারণার বিষয়ে অভিযুক্ত ইয়াছিনের মুঠোফোনে বক্তব্য নিতেতয় জানান, ‘ইহান সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামে কোনো প্রতিষ্ঠানকে আমাদের ক্লিনিকের জনবল নিয়োগের বিষয়ে বলা হয়নি। তারা কেন বা কীভাবে তা করছেন সেটি তিনি অবগত নন।

পত্রিকাএকাত্তর /আক্তারুল ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news