ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব থেকে পটুয়াখালী শতভাগ বিপদমুক্ত হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রাহাত হোসেন। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ও অমাবস্যার প্রভাবে সাগর ও স্থানীয় নদীগুলোতে পানি বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে উপকূলীয় অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ।
জানা গেছে, সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর গড়িয়ে গেলে বৈরী আবহাওয়া আরও ঘনীভূত হয়। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে গোটা উপকূলবাসী। দমকা বাতাসের সঙ্গে চলতে থাকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত। টানা এ বৃষ্টিপাতে জেলা শহর ছাড়াও বেশ কয়েকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। পানিতে তলিয়ে যায় নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি। উপকূলের লোকজন দলবেঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করে স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। তবে এখন বিপদমুক্ত পটুয়াখালী।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রাহাত হোসেন বলেন, রাত ৮টার পর থেকে সিত্রাং পটুয়াখালীর উপকুল সংলগ্ন এলাকা এড়িয়ে বরিশাল-চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে পটুয়াখালী শতভাগ বিপদমুক্ত। অতিভারী বর্ষণের কারণে সিত্রাং দুর্বল হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, সিত্রাং মোকাবিলায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সোমবার বিকেলে বৈরী আবহাওয়া দেখা দিলে জেলার ৮টি উপজেলায় প্রস্তুত রাখা প্রায় ৭ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২৬টি মুজিব কেল্লায় অন্তত ৭২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এসকল আশ্রিতার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তবে আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে পটুয়াখালী এখন বিপদমুক্ত বলে জানানো হয়েছে।
বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন রাঙ্গাবালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ খালেক মুহিদ বলেন, আপাতত ঝড় ও বৃষ্টিপাত থেমে গেছে। মনে হচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে এসেছে। যেহেতু সাগর সংলগ্ন উপজেলা, তাই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া নারী-শিশু, বৃদ্ধাসহ অন্তত ১৯ হাজার মানুষ রাতে সেখানেই ছিলেন। সকালে অবস্থা বুঝে যে যার মতো নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে যায়। তবে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর / মারুফ ইসলাম