বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল এর সীমান্ত রেলওয়ে স্টেশন চিলাহাটিতে গত ১ মাসে রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে বলে জানা গেছে। চিলাহাটি রেল স্টেশন উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেশন। এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন ৫টি আন্তঃনগর ট্রেন যাওয়া আসা করে।
যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে ঢাকা-চিলাহাটির মধ্যে চলাচলকারী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। গত দুই মাসে টিকিট বিক্রি করে আয় হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আর মালবাহী ওয়াগন ভারত থেকে পাথর পরিবহনে আয় হয়েছে ১ মাসে ৭৯ লাখ টাকা। চিলাহাটি স্টেশনে বিপুল পরিমাণ আয় হওয়া সত্বেও নানা অসুবিধার মধ্যে পড়ে আছে যাত্রী সাধারণ ও স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
স্টেশনে নতুন ভবনের কাজ দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোর সময় যাত্রীদের উঠানামা সহ নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়, চারটি বগি প্লাটফরমের বাইরে থাকে ফলে যাত্রী সাধারণকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠতে হয়। দুই নাম্বার লাইনে ট্রেন দাঁড়ালে যাত্রীদের উঠা নামার কোন ব্যবস্থা নেই, নামতে উঠতে গেলেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। চিলাহাটি রেল স্টেশনে একটি ওভার ব্রীজ জরুরী বলে যাত্রীরা মনে করেন।
আন্তর্জাতিক মানের স্টেশন হওয়া স্বত্তেও মাস্টার ও কর্মচারীর অভাব রয়েছে। তিন জন মাস্টার পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুই জন। পয়েন্টম্যান ৬ টি পদ থাকলেও আছে মাত্র চারজন যার মধ্যে ২ জন অনিয়মিত। পটার ৩ টি পদের মধ্যে আছে ২ জন। চিলাহাটি স্টেশনে গাড়ী লাইনে ও ওয়াশ ফিডে নিতে পয়েন্টম্যানদের চব্বিশ ঘন্টা কাজ করতে হয়।
চিলাহাটি স্টেশনে নীলসাগর ট্রেনে প্রান্তিক স্টেশন হিসেবে ১৫০ টি টিকিট দেয়ার কথা কিন্তু সাধারণ টিকিট মাত্র ৩৪ টি, এসি চেয়ার ১০ টি। অনলাইনে সাধারণ ও এসি মিলিয়ে টিকিট ৪৪ টি থাকলেও এইসব টিকিট চলে যায় বøাকারদের দখলে। এছাড়াও একশ্রেণির কম্পিউটার ওয়ালা দেদারে টিকিট ব্যবসা করছে।
৫০০ টাকার টিকিট ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা বিক্রি করছে তারা, তাই সাধারণ যাত্রীরা ছোট ছোট স্টেশনের টিকিট অনলাইনে না দেয়ার জন্য দাবী জানাচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে।
পত্রিকা একাত্তর / শাহাজাহান বিপ্লবী