সারাদেশের ন্যায় নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা করছেন জনপ্রতিনিধি সহ সাধারণ মানুষ। পদটিতে আওয়ামী লীগের জেলা শাখার বর্তমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক লড়ছেন একে অপরের বিরুদ্ধে।
নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক লড়ছেন দলীয় মনোনয়ন নিয়ে। তার প্রতীক আনারস। জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, নীলফামারী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদ্য সাবেক প্রশাসক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। তিনি আওয়ামী লীগের একসময়কার সম্পাদক থাকলেও জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছিলেন একসময়। বর্তমানে কোনো দলের সাথে সম্পর্ক নেই তার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জেলার আওতাধীন ৬ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে বিএনপি-জামায়াত পন্থী চেয়ারম্যানের সংখ্যা বেশি থাকায় আওয়ামী লীগের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আবেদীন দলীয় প্রার্থী মমতাজুলের চাইতে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও মমতাজুল হকের জেলা জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় এবারের নির্বাচনে তার জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। গতবার মাত্র ৩১ ভোটে পরাজিত হওয়া মমতাজুলের সাথে আবেদীনের ব্যাপক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ৬ উপজেলায় মোট ৮৫৮ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এছাড়া জেলা পরিষদের কাঙ্ক্ষিত চেয়ারম্যান পদটিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কোন প্রার্থী আসীন হবে, সেটি দেখার ক্ষণ গণনা করছেন নীলফামারী জেলাবাসী।
পত্রিকা একাত্তর / রিশাদ