ট্রেনের মধ্যে ভ্রমণকালীন সময়ে মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে অজ্ঞান হয়ে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা ব্যক্তিটির পরিবারের খোঁজ মিলেছে। রেলওয়ে পুলিশ, হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স, সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তার পরিবার।
শুক্রবার (১৪ই অক্টোবর) ভোরে পাবনা থেকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছায় চিকিৎসাধীন থাকা অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিটির পরিবারের লোকজন। এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে খোঁজ পেয়ে রাতেই ডোমারের উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাস যোগে রওনা হয় তার পরিবার। সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আবারও গ্রামের বাড়ি পাবনার দিকে রওনা হন তারা।
অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম খবির উদ্দীন (৬৩)। তিনি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মীরকামারী এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম আমিন উদ্দিন ও মাতার নাম জাহানারা খাতুন।
পরিবারের পক্ষ থেকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যবৃন্দ, ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টাফ নার্স, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
চিকিৎসাধীন রোগী খবির উদ্দীনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন—ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার রায়, জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. পারমিতা রায় সহ হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গতকাল (১৩ই অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় খবির উদ্দীনকে। পরে, চিলাহাটি স্টেশন মাস্টারের নির্দেশক্রমে আরএনবি সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়। তিনি ট্রেনে থাকা মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
পত্রিকা একাত্তর / রিশাদ