চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন পশ্চিম বাকলিয়া ১৭নং ওয়ার্ড ডি সি রোড, দেওয়ার বাজার কাঁচা বাজার সড়কের কেডিএস গলি সংলগ্ন ইউনুস সড়কে একটি বহুতল ভবনের নিচ তলা হতে উপরের ইউনিটে গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে রান্নার কাজে গ্যাস সংযোগ দেওয়ায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আতঙ্কে রয়েছেন আশেপাশের বাসিন্দারা।
এই এলাকায় অধিকাংশ ভবনের নেই কোনো সরকারি লাইনের গ্যাস,ফলে ঝুঁকি নিয়ে নিচতলায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি গ্যাস সিলিন্ডার একত্রে মজুদ করে সংযোগ দিয়েছেন ভবন মালিক পক্ষ। এতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে যেকোনো সময় বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ইউনুস সড়কের একটি আবাসিক ভবনের নিচের তলায় গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করে রান্নার কাজের জন্য গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এই একটি ভবনেই ফ্ল্যাট আছে ৪৫টি, আবার সেই ৪৫টি ফ্লাটের জন্য ৪৫ টি গ্যাস সিলিন্ডার ভবনের পার্কিং এরিয়া হতে ভবনের মালিকেরা সংযোগ দিয়েছেন বলে জানা যায়।
এই ভবনে নেই কোনো অগ্নি প্রতিরোধক নিরাপত্তা সরঞ্জাম। ভবনটিতে দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুরক্ষা সরঞ্জাম রাখা হয়নি।একটি সিলিন্ডারের সাথে আরেকটি সিলিন্ডারের সাথে অপরটি প্রায় লাগুয়া ভাবে আছে। একটির বিস্ফোরণ ঘটলে অন্যান্য সব কয়টি সিলিন্ডার একযোগে বিস্ফোরণ ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ফ্ল্যাটের একাধিক বাসিন্দা জানান, জীবনের অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক ও ঝুঁকি নিয়ে এখানে বসবাস করছি। যেকোনো সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে পুরো বিল্ডিং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে। তা-ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে।
ভবনের আশেপাশের প্রতিবেশীরা জানান,মনে হয় সংয়ক্রিয় বোমা সাথে নিয়ে বসবাস করছি। যেকোনো সময় সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এমন হলে পুরো এলাকার কয়েকটি বিল্ডিং ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
ইতোমধ্যে চন্দনপুরা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ওই ভবনটি পরিদর্শন করেছেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, এই এলাকায় ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে নিরাপদ হাউজিং সোসাইটির একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় গ্যাস বিস্ফোরণে ১জন নিহত ও চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল।
বিস্ফোরণে ঘরের আসবাবপত্র, জানালার কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। উড়ে যায় ভবনের একটি দেয়াল। কাঁচ আর দেয়ালের টুকরা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এই বিস্ফোরণে মাদ্রাসা ভবনের সামনে শাহাদাত হোসেনের মালিকানাধীন ভবনটি সহ আশেপাশের কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ছিল।
পত্রিকা একাত্তর /ইসমাইল ইমন