স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রী নিখোঁজের ১ মাস পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মেলেনি। থানায় অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। নিখোঁজ ও-ই ছাত্রীর নাম রুকাইয়া খাতুন ইমা। সে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এ ঘটনায় বর্তমানে নিখোঁজ ইমার পরিবারে শোকাবহ অবস্থা বিরাজমান।
নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবারিক সুত্রে জানা যায়, সোমবার (১০জুলাই) কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির ছাত্রী রুকাইয়া খাতুন ইমা প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। স্কুল থেকে আর ফিরে আসে নি। স্কুল ছুটির পর ইমা বাড়িতে না ফেরায় প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিশ্চিত করেন যে সে ও-ই দিন স্কুলে উপস্থিত হয়নি। পরবর্তীতে আত্বীয়-স্বজনের বাড়ী সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা য়ায়, দিয়ারকাদিরপুর গ্রামের নাজিম আলীর ছেলে সোহেল সহ ৪/৫ জন মিলে মেয়েটিকে নিয়ে যায়। ছেলেটির পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। নিখোঁজ ছাত্রীর পিতা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে বাঘা থানায় লিখত অভিযোগ করেও আমরা আশানুরূপ কোন ফল না পেয়ে পরবর্তী তে রাজশাহী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নং-২ একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার সি. আর. মামলা নং-১৬৪পি/২০২৩ (বাঘা), ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারা মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এক মাস পার হয়ে গেলো এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ খবর পায়নি। সে বর্তমানে জীবিত আছে কিনা তা আমরা জানিনা। এখন নিরুপায় হয়ে পড়েছি। আমার মেয়ে নাবালিকা । আমরা যে কোন মূল্যে তাকে ফিরে পেতে চাই।
এ ব্যাপারে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ খাইরুল ইসলাম জানান, রাজশাহী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আদালতে মামলা হয়েছে। মেয়েটি উদ্ধারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে।
পত্রিকা একাত্তর /রবিউল ইসলাম